পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযাত্রিক এরপরে লোকটা আর নাকি ঠিক করতে পারিনি। কার হাতে বাক্সটা দিয়েছিল, নেপালও স্বীকার করেনি। সেই হাতবাক্সটি সে আত্মসাৎ করে। অনেক টাকা পেয়েছিল বাক্সের ভেতর, সেই টাকায় ব্যবসা করে নেপাল অবস্থা ফিরিয়ে ফেলেছিল । এ গল্প অবিশিষ্ঠ নেপাল মাঝির মুখে শুনিনি, নেপালের শত্রুরা বলতো এ কথা । তিনখানা বড় মহাজনী নৌকোতে সুপুরি। আর বালাম চাল বোঝাই দিয়ে সে ঝালকাঠি থেকে আমাদের দেশে যেতে প্রতি বছর। আমি ঝালকাঠি বাজারের একটা বড় আড়াতে নেপালের নাম করতেই আড়তের মালিক তাকে চিনতে পারলে । বললে-সে অনেকদিন আসে? না, বেঁচে আছে কি জানেন ? এতদূরে এসে যদি দেশের লোকের কথা শোনা যায় অপরের মুখে, DDBD DBDBBBD BD DD DBD DEDSB qBLD DLBDBDYS DBDBS EL হয়, তবে সত্যিই বড় আনন্দ পাওয়া যায় । তিনদিন পরে স্টীমারে বরিশাল থেকে চাটগ রওনা হই । ছোট স্টীমার, লোকজনের ভিড়ও বেশি নেই।--ডেক চেয়ার পেতে সামনের ডেকে বসে দূরের তীররেখা ও ঘোলা জল দেখে সারাদিন কোথা দিয়ে কেটে যায় ! ভোলা বলে বরিশালের একটা বন্দয়ে সন্টীমার লাগলো। পরের দিন সকালে । এই ভোলার নামও করতো আমাদের গ্রামের নেপাল মাঝি । কি দুঃসাহসিক লোকই ছিলো, ধনপতি সদাগর কি ভাস্কো ডা গামা জাতীয় লোক ছিল আমাদের নেপাল, ছেলেবেলায় কি তাকে ভালো করে চিনতাম ? কোথায় আমাদের সেই ছোট্ট নদী, নদীতীরে বঁাশবনের ছায়া, কুঁচলতার ঝোপটি-আর কোথায় সাত সমুদ্র তেরো নদী পারের বন্দর ভেলা ।