পাতা:অভিযোগ - প্রচার পুস্তিকা (১৯৪৭).pdf/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

===কাহিনী – বিপদের শৃংখল যার পায়ে পায়ে, তার অভিযোগ কার বিরুদ্ধে? বাসন্তী নিজেও তা’ জানে না।—শুধু জানে একদিন তার সব কিছু-ই ছিল, আর আজ সর্বস্ব হারাতে ব’সেছে। গ্রাম সম্পর্কের কাকার গায়ে-পড়া দরদটুকু যে নিছক স্বার্থে জড়িত, তা বুঝতে তার বাকি রইলো না। তার শকুনের মত তীক্ষ্ণ চোখে ধূলি দিয়ে একদিন রাত্রির অন্ধকারে নিঃসম্বল বাসন্তী নিঃশব্দে অজানার পথে বেরিয়ে পড়লো মাকে নিয়ে... ...কিন্তু কই? তবুতো সে বিপদের হাত থেকে মুক্তি পেলো না। পথের মাঝে ওর মা ভয়ানক অস্ত্রস্ত হয়ে পড়লেন। বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড় সুধীর চৌধুরীর সহায়তায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি ক’লো। কিন্তু ওপার থেকে যার ডাক আসে, তাকে কি আর ধরে রাখা যায় ? তিনি শেষ নিঃশ্বাস ফেললেন। নিস্তব্ধ হিম শীতল মায়ের বুকে মুখ রেখে, কেঁদে আকুল হ'লো বাসন্তী। সজল নয়নে ব’ললো : আপনার ব’লে আমার কেউ রইলো না। সুবীরবাবু ? সুবীরের সহজ সরল হৃদয় বেদনায় দুলে ওঠে। তার সুদীর্ঘ ও বলিষ্ঠ হাতখানি বাড়িয়ে দিল। বাসন্তী ও তার হাতের ওপর মাথা রেখে খুব কাৰলো কিন্তু পরক্ষণেই সুধীরের ভাবনা হ'লো— কোথায় ওকে আশ্রয় দেবে? মামার বাড়ীতে রাখতে গিয়ে নিজের আশ্রয়টুকুও সে হারালো। শেষ পর্যন্ত নিতাই ভট্টচাষি ওকে ঠাঁই দিলো। গরীবরা এমনি ক'রেই গরীবের সাহায্য করে।... এদিকে মুক্তিসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা সর্বেশ্বর মহারাজ, মানুষের বৃহত্তর কল্যাণের জন্য পর্যটনে বেরুবেন। কিন্তু সুবীরের সঙ্গে দেখা না ক'রে তিনি যেতে পাৰ্ছেন না। রূপাশংকর সুযোগ পেয়ে ব’ললো : ওর কি আর দায়িত্বজ্ঞান আছে ? তীব্রকণ্ঠে জবাব