পাতা:অমরনাথ (কৃষ্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী).pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমরনাথ । S&S} সর্পাঘাত হোক বা হঠাৎ একটা সাংঘাতিক রোগ হোক। কোই তাও তো হবার সম্ভাবনা দেখিনে। তবে মৃত্যু আশা ত্যাগই কোর্ত্তে হলো, এক্ষণে দেশ পরিত্যাগ করা। এই বই আর যখন গতি নেই, তখন তাই কোর্তে হয়েছে। কিন্তু পরিবারকে বোলে যাই কি না । না, তা হয়ন । না বোলে যাওয়া হযন । না বোলে গেলে যেমন অন্ধকারে নাক মুখ চেপে ধোরে গল টিপে মারে, তেমনি ভাবে তাঁর মোরে যাবে। তা ছয না। তবে বলেই বা যাই কেমন কোরে । এই এত দিনের বিচ্ছেদের পবে কালকে কাদা কাটা হয়ে আমি আশ্বাস দিয়িচি সঙ্গে কোরে লয়ে যাব, তারা সকলেই মনের আনন্দে আছে, এক্ষণে আবার কেমন কোরে বলি যে, এত দিন যে দুঃখে ছিলে, তার শত গুণ দুঃখে আবার থাক, আমি চোল্‌লেম । আহা! কি যন্ত্রণাই হলো ! ওহ্ ! আমার মাথা ঝ। বর্ণ কোচ্ছে উহ! (কবন্ধের ন্যায় কোঁচের উপর হস্ত আছড়াইয় পতন ও ক্রমে অচৈতন্য ) (জয়ার মা ভিতরে ) আ সিষ্টিধর ! সিষ্টিধর ! সিষ্টিধর ! অমর। (চক্ষুরুন্মীলন ) আ—হ ! প্রাণটার একটু বিশ্রাম হয়ে গেল ! —একে নিদ্রা বলা যায়না। যেমন এক্ট ভেক সৰ্পমুখে পতিত হোয়ে নিস্কৃতি পাবার জন্য প্রাণ ব্যগ্রতায় স্পন্দন করে, শেষ হীনবল হোরে নিস্পন্দনে কিয়ৎকাল অবস্থিতি কোরে পুনরায় স্পন্দন করে, যেমন দীপতৈলে পতঙ্গ নিপতিত হেয়ে অব্যাহতি পাবার জন্যে স্পন্দন কোরে হীনবল হয়ে কিয়ৎকাল নিম্পন্দ থাকে, পরে পুনরায় স্পন্দন করে, যেমন মনুষ্য মুমূর্ষ কালে মৃত্যু-যাতনায় অঙ্গ খেচন কোরে হীনবল হয়ে স্পদ রহিত অবস্থায় কিয়ৎকাল থেকে পুনরায় স্পন্দন করে, আমার প্রাণ তেমনি কিয়ৎ কাল বিশ্রামের পর আৰার ছট ফটু কোর্ভে লাগল !