পাতা:অমরনাথ (কৃষ্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী).pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* অমরনাথ ! সেই মাটির ঢেলাট সম্পূর্ণ চুর্ণীকৃত হল, আর কিছুমাত্র অবশিষ্ট থাকুল না, তখন ছু পী এক পা কোবে বাপ আস্তে আস্তে চোলে গেলেন । রাধা । আঞ্জে, এ কথা মামৃলেম। মতিলাল বাৰু অতি শাস্ত স্বভাবের মানুষ, তা হতে এ কথার উত্তর হবার বিষয় নয় বটে ; কিন্তু আমরা হলে উত্তর হতো। ন্যায়। স্থা, তুমি হলে উত্তর হতে এই যে, আমার মাথায় একটি লাঠির বাড়ি হতো । কৈ কি উত্তরটা কোর্ত্তে বল দিখি ? রাধা। মহাশয় বলেন ব্রাহ্মণ না থাকলে রাত দিন হোত না, আমি বলি দাড়কাক না থাকুলেও রাত দিন হতো না । কেন না দাড়কাক যদি ক, কা, কোরে না ডাক্ত, তবে আর রাত্র প্রভাতও হতো না, দিনও হতে না । ন্যায। তা তুমি তো বোল্‌বেই হে। তুমি যদি একটা উত্তম কথাও বোলতে যাও, তাও তোমার মুখ নিঃস্থত হবার সময় লাঠি হযে বেরোয় । যেমন “সৰ্প যদি দুগ্ধ আহীর কোরেও বমি করে,তবু সে বিষ হয়ে বেরোয়” । তোমার তো আর কোন ক্ষমতাও নেই কার্য্যও নেই, কেবল উদরটি পরিপোষণ কোর্ভেই তুমি মনুষ্য জন্ম গ্রহণ কোরেছিলে । নিমন্ত্রণ অন্বেষণ করাই হয়েচে তোমার এ জীবনের উদ্যোগ, আর নিমন্ত্রণ ভোজন করা হয়েছে সম্ভোগ। আবার যেখানে নিমন্ত্রণ পাও, সেখানে যাও, সকলের অগ্রে, আর এস সকলেব পশ্চাতে । ঘোষ । সে কি ? সে কি ? ন্যায়। নিমন্ত্রণে যান সকলের অগ্রে, গিয়ে প্রথম জলযোগের সামগ্রী যা পান, তাতে আহার করেন। তার পর এই যত নিমন্ত্রিত লোকের সমাগম হোচ্চে, উনি প্রতিবারই সেই গোলে মিশে নুতন হয়ে, ফলিযোগের স্থানে গিয়ে, মুখ গুজে বোসে খেয়ে খেয়ে আসচেন। তাঁর