পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ । তাহার প্রাণীটাকে-হৃদয়টাকে মরুভূমি করিয়া বাধিবার অধিকার নাই। তা হ’লে তাছার বিবাহ দিয়া সংসারে তাহাকে সুখের স্বরকান্না-করিবার সুযোগ দাও, আর তা না পাের, তাহার বিবাহ দিও না। তাতেও ক্ষতি নাই, কিন্তু তাহা হইলে এস, তুমি অ৷াম আপন আপন কার্য্যের দ্বারা ভাঁহার ব্রহ্মচর্ঘ্যের সহায়তা করি। ব্রহ্মচর্য্য কেবল বিধবার জন্য নহে, আর তাই যদি হয়, তবে এস নিজ নিজ আচরণ দ্বারা তাহার ব্রহ্মচর্য্য ব্রহ্মপালন সহাঙ্গ সাধ্য করিয়া দিই। সে বুকুক, তাহার অবস্থার অংশ গ্রহণের জন্য অঙ্কেও সংযত জীবন যাপন করিতে পারে।” এইবার কার্ত্তিকচয় অমর কুমারকে অতি পরিষ্কারভাবে বুঝিতে পারিলেন। বলিলেন, “তোমার বয়স অল্প হইলেও তুমি যে বিজ্ঞাজুনোচিত কর্ত্তব্যের পথ দেখাইলে, ইহাই জনসমাজের অবশ্য কর্ত্তব্য । সংসারের সর্বপ্রকার সুখ ও আরামে ডুবিয়া থাকিব, আর বিধবার ব্রহ্মচর্য্যের উপদেশ দিব, বিধবার জীবনের পথে পান থেকে । চুপ থিসিলেই সর্ব্বনাশ হইল বলিযা মনে করিব। এরূপ নীতিবৈষম্যাই বোধ হয় আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনকে এতটা হীন করিয়া রাখিয়াছে।” অমর কুমার বলিল, “সমাজকে কতদূর হীন করে, তাহা হয়ত সকলে সব সময়ে তলাইয়া দেখে না, ভাবেও না। পিতা মাতা ও আত্মীয় স্বজনের উদাসীনতা ও নিজ নিজ সুখপ্রিয়তার মাঝখানে অল্প বয়স্ক বিধবার জীবনে যদি দৈবক্রমে কোন বিপত্তি ঘটিল, অহা হইলে, তাহার ফল কতদূর গড়ায় তাহা কেবল সেরূপ :