পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমর-ধাম । বলিতে বলিতে চক্ষের জলে বুক ভাসাইতে লাগিল। কার্ত্তিকচন্দ্র "অমর কুমারকে সাদরে বক্ষে ধরিয়া বলিলেন “কেঁদ না, মান সন্ত্রম সবই যখন বজায় থেকেছে, তখন আব্ব কান্না কেন ? বিপদ অ্যাপদ সকলেরই হয়,ওকি ছি! বেদ না, তোমাকে কঁাদূতে দেখলে বাড়ীর সকলেই কঁাদিয়া এমন একটা গোল করবে। যে শেষে পাড়ায় লোক সব জড় হবে ।” কাঞ্জিকচন্দ্রের মা জামাইএর আসার বিলম্ব সহ করিতে পারিতেছেন না, বিলঙ্গ দেখিয়া নিজেই অগ্রসব হইলেন। তখন শ্যালক তশ্নৗপতিকে বলিলেন, “ঐ দেখি তোমার বিলম্ব দেখিয়া মা আসিতেছেন।” তখন আমব কুমাব নিতান্ত নিরূপায় হইয়া অগ্রসর হইল, এবং শ্বাশুড়ীর চরণতলে মাথা রাখিয়া চক্ষের জলে চরণ ধৌত কবিতে লাগিল। গৃহিণী জামাজার হাত ধরিয়া উঠাইলেন এবং বাহিরেন্স ঘৰে লইয়া বসাইলেন। আধা ঘণ্টার অধিক সময় সকলে নীবৰে কাটাইয়া দিলেন। সবে সন্ধাকাল, কিন্তু ঐ ক্ষুদ্রগৃহে যেন গভীর রজনী'র নিস্তব্ধ ভাব পালে পলে অনুভূত হইতে লাগিল। গৃহিণী নিজ দদায়ের গভীর যাতনার আবেগ সংবরণ করিয়া পয়ে বলিলেন “কেমন আছ বাবা ?” অমর অতি মৃদুস্বরে বলিল “ভালই আছি।” গৃ। ওঠ, উঠে হাতে মুখে জল দাও, জল খাও, আমরা তোমার ও জন্য পথ পানে তাকাইয়া ধসিয়াছিলুম। কতকাল তোমাকে দেখিনি. সে কি আজকের কথা! জল খেয়ে দুই ভায়ে ৰ’সে বিশ্রাঙ্গ কর, আমি তোমাদের খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করিগে।