পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশ প্রেম ২৩ লিখে পত্র দিলাম। অনেক করে তাকে অনুরােধ করলাম তিনি যেন আপনাদের দুজনের বিবাহে আর বাধা না দেন এবং সম্পূর্ণ অনুমতি দেন। এর পরেই তিনি মত পরিবর্তন করে অমরকে ডাকিয়ে আনন্দের সঙ্গে অনুমতি দেন। অমর বলিল, বাবা তখন আমাকে আশীর্বাদ করে বল্লেন মাষ্টার মশায়ের স্ত্রীকে আজই গিয়ে এ খবর দিয়ে লতুকে এনে তার কাছে পৌছে। দাও। আমি সেই দিনই গিয়ে তাঁকে সব কথা বলি। স্যারের নূতন বড় ছবিখানিও তাঁকে দিয়ে এসেছি। সেই দিনই ইতিহাসের প্রকাশকদের কাছ হতে পত্র আসে যে-এ বৎসরে সেই বই হতে তার অংশে এক হাজার টাকা প্রাপ্য হয়েছে, কি ভাবে এবং কোথায় টাকা পাঠাতে হবে জালেই তারা টাকা পাঠাবে। সেই পত্র পড়ে আর স্যারের সেই ছবি দেখে খুড়িমার সে কি কান্না। সে কান্না চিরদিন আমার মনে থাকবে। তাকে কত করে শান্ত করে তবে এসেছি। এ কথায় তিন জনেরই চোখে জল আসিল। অপরাহ্রে লতিকাকে লইয়া অমর সেখান হইতে বাহির হইল। লােকেন্দ্র আসিয়া তাহাদের ট্রেণে উঠাইয়া দিয়া গেল। পরদিন প্রভাতে লতিকা ও অমর দুর্গাপুরে আসিয়া পৌছিল। দুইজনে একসঙ্গে মায়ের চরণ বন্দনা করিয়া যখন প্রাচীর বিলম্বিত মনােহরের তৈলচিত্রের সমুখে নত হই প্রণাম করিল, তখন মনে হইল যেন চিত্রে মনােহরের প্রশান্ত মুখমণ্ডল আনন্দে উদ্ভাসিত হইয়া উঠিল

--