পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৬ অমর প্রেম কখনও বা বেশী বাহিরে থাকেন অথচ টাকা যাহা বেশী দেন তাহা মাত্র দশটি। মাসিক এই ১০ দশটি টাকার জন্য কি তাহাকে প্রতিদিন ৪ ঘন্টা করিয়া খাটিতে হয়? যদি তাই হয়, এত খাটুনির দরকার ? সত্য বটে টাকা কিছু বেশী হইলে সাংসারিক স্বচ্ছলতা এবং সঙ্গে সঙ্গে শান্তি কিছু বাড়িবে। কিন্তু শরীর যেখানে চলিবে না সেখানে সে চেষ্টার কি প্রয়ােজন ? ইহার উপর বাড়ী আসিয়া মেয়েদের পড়ান আছে। তারপর রাত্রি জাগিয়া অমরের কথামত কি একখানা বই আরম্ভ করিয়াছেন। কি হইবে এইসব লিখিয়া ? যৌবনাবধিই তত লেখাপড়া লইয়াই রহিলেন কিন্তু কি সুফল হইল তাতে? একদিন কথাটা স্বামীকে বলিবে বলিবে করিয়া সুহাসিনীর মাস তিন চার কাটিয়া গেল। একদিন রাত্রি দশটার পর শ্রান্তদেহে ও শুষ্ক মুখে স্বামী গৃহে ফিরিতে সুহাসিনী জিজ্ঞাসা করিল এত রাত্রি পর্যন্ত কোথা ছিলে ? মনােহরের মুখে একটু কঠিনতা ফুটিয়া উঠিল ; কহিলেন, কি করব । বল—অল্পচিন্তা। সংসার তাে চালাতে হবে। সুহাসিনীর মনে স্বামীর শুষ্ক মুখের জন্য করুণাই জাগিতেছিল, কিন্তু তক কথার শুক উত্তরই আসিয়া পড়িল—এমন সংসার না করিলেই ত হয়। এই বে সকাল সন্ধ্যা বাড়তি খাটছ, তার জন্য কত দিচ্ছে শুনি। দশ টাকার জন্য এত ভূতের মত খাটুনি কেন? . উত্তর হইল ভূত যে সে ভূতের মতই খাটিৰে, দেবতার মত খাবার কত সে কোথায় পাবে? দেবতা অল্প খেটে বেশ টাকা উপায় , কি দুত তাে তা পারে না; তাকে বেশী খেটে কম টাকা উপায় কতে হয়। এই গর গ্য।