পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t 1 ৪ অমর প্রেম চক্ষে জল দেখিলে মানুষের প্রাণে যে আনন্দের বেদনা জাগে অমর তাহা প্রথম প্রত্যক্ষ করিল। প্রথম দর্শনে দুইজনার অন্তরে প্রেম জন্মলাভ করিয়া সাহচর্যে বর্ধিত হইয়া অশ্রুজলের স্পর্শে অমর হইয়া উঠিল। অমর বলিল, তুমি চুপ কর লতু। আমি তােমাকে নিয়ম করে চিঠি দেব। তুমি কিন্তু উত্তর দিও ! ছুটি পেলেই আবার আমি আব্ব। অমর এবার যাইতে উদ্যত হইল। লতিকা অমরকে প্রণাম করিল ও চক্ষু মুছিয়া উঠিয়া দাঁড়াইল। | অমর আর একবার ম্লানমুখী লতিকার পানে চাহিয়া ধীরে ধীরে কক্ষ হইতে বাহির হইল। এই তাহার জীবনের প্রথম প্রণয়। প্রণয়ের প্রথম বেদনা! প্রণয়ের প্রথম আনন! বাহিরে আসিয়া অমর লতিকার কক্ষের পানে আর একবার চাহিল। দেখিল লতিকা অশ্রু প্লাবিত নেত্রে তাহার পানে চাহিয়া আছে। অমরের চক্ষুও সজল হইয়া উঠিল। জোর করিয়া মুখ ফিরাইয়া অমর পথ চলিতে লাগিল। অমর যখন কলিকাতাগামী ট্রেণে আসিয়া উঠিল তখন দুঃখের মধ্যেও অমরের আনন্দের অবধি ছিল না। মানুষ পথ চলিতে চলিতে কোন জিনিষ কুড়াইয়া পাইয়া যত্ন করিয়া তুলিয়া রাখার পর যদি সে জানিতে পারে যে সেই কুড়াইয়া পাওয়া জিনিষ অমূল্য রত্ন তখন তাহার যেমন আনন্দ হয়, অমরের আনন্দ ও আজ সেইরূপ। কতবার দেখা লতিকাকে এবার দেখিবামাত্র অমরের বড় ভালাে লাগিয়াছিল। কিন্তু সে যে এত ভালাে, সে যে অমৃতের চেয়ে