পাতা:অমৃতস্য পুত্রাঃ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃতস্য পুত্রাঃ খারাপ। আইনসঙ্গীত জুয়াচুরি করিয়া-বীরেশ্বরের হাজার তিনেক টাকা মারিয়া দিয়াছিলেন, তাকে দেখিয়া জনতার উল্লাস ? কাগজে সম্প্রতি একজন লীলাময় ঘোষের নাম দেখা যাইতেছিল বটে। মাঝে মাঝে, তিনিই কি ইনি ? পাশ-বালিশের মত গোলগল লীলামায়ের এতো এক অপরূপ লীলা ! মঞ্চে উঠিবার অধিকার শঙ্করের ছিল না, কিন্তু রাজসিংহাসনে উঠিবার অধিকারও শুধু অপেক্ষ রাখে। অৰ্জনের। বাধা মানিবার মত মন তার ছিল না, বাধা সে ঠেলিয়া সরাইয়া দিল দু'হাতে, গম্ভীর মুখে একটু মাথা হেলাইয়া সমস্ত প্রতিবাদে সায় দিয়া বসিয়া পড়িল লীলাময় ঘোষেরই খালি চেয়ারটিতে। উদাস মধুর সজল কান্নার সুরে লীলাময় তখন বক্তৃতা আরম্ভ করিয়া দিয়াছেন । সুর যেমনই হোক থাকিয়া থাকিয়া এমন সব বিশ্রী হাসির কথা তিনি বলিতে লাগিলেন যে সভায় চাপা। হাসির গুঞ্জন উঠিতে লাগিল। বক্তৃতার এ একটা টেকনিক, —“কঁাদ” “কঁদ’ গোপাল ভাড় মানুষকে মুগ্ধ করে বেশী। একবার হাসিটা হইল প্রবল, মিনিটখানেক গোলমাল থামিল না । সেই অবসরে লীলাময় জিজ্ঞাসা করিলেন, কি খবর শঙ্কর ? Գ Տ