পাতা:অমৃতস্য পুত্রাঃ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃতস্ত পুত্রাঃ ষে নিজেকে কষ্ট দেয়, এই রোগের চিকিৎসা করিতে ? মাঝবয়সী মাংসল মেয়েরাও যে এখানে আসিয়া রোগটার হাত হইতে রেহাই চান, একটু পরেই শঙ্কর তা চমৎকার বুঝিতে পারিল। বিদেশী পোষাক পরা একটা হাংলা পোকার সঙ্গে যে মহিলাটি সটান তাদের টেবিলের কাছে আসিয়া দাড়াইলেন, মুখের রঙ তার খাটি রং । মিসেস সেন তিনি, নমিত নাম। লীলাময়ের যে তিনি বিশেষ ঘনিষ্ট বন্ধু, সেটা বোঝা গেল খাপছাড়া অভ্যর্থনার জবাবে লীলাময়ের ঘাড়ে তাঁর ছোট একটি চড় মারায় । আড় চোখের শঙ্করের দিকে চাহিয়া তিনি বসিলেন। উঠিলেন একঘণ্টা পরে। বলিলেন, আপনার গাড়ীটা বাইরে দেখছিলাম কেদার বাবু, এসব তো অনেক খেলাম, একটু হাওয়া খাওয়াবেন ? কেদারনাথ ব্যস্ত হইয়া বলিলেন, নিশ্চয়, নিশ্চয়। মিসেস সেন গাড়ীতে উঠিলেন আগে, উঠিয়াই বলিলেন, আসুন শঙ্করবাবু আপনি, আপনার সঙ্গে আজ প্রথম আলাপ হল, আপনি আমার পাশে বসবেন । ডায়মণ্ড হারবারের দিকে যাওয়া যাক, কেমন ? レア。