পাতা:অমৃত-দ্বীপ - হেমেন্দ্রকুমার রায় (১৯৪০).pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অমৃত-দ্বীপ

 সুন্দরবাবু বললেন, “হুম্, শেষ-চেষ্টা মানে? আপনি কি বলতে চান, তাদের জাহাজের সঙ্গে আমাদের জলযুদ্ধ হবে?”

 -“আশ্চর্য্য নয়।”

 সুন্দরবাবু বিস্ফারিত চক্ষে ও উত্তেজিত কণ্ঠে বললেন, “আশ্চর্য্য নয় মানে? জলযুদ্ধ অম্‌নি হ’লেই হ’ল? আমাদের সেপাই কোথায়? কামান কোথায়? আমরা ঘুসি ছুঁড়ে লড়াই করব নাকি?”

 কুমার হেসে বললে, “কামান নেই বা রইল, আমাদের সকলেরই হাতে আছে অটোমেটিক বন্দুক। আর আমাদের সেপাই হচ্ছি আমরাই।”

 সুন্দরবাবু অধিকতর উত্তেজিত হয়ে আরো কি বলতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু হঠাৎ বিকট স্বরে “হুম্” শব্দ ক’রে মস্ত এক লাফ মেরে পাঁচ হাত তফাতে গিয়ে পড়লেন।

 মাণিক বললে, “কি হ’ল সুন্দরবাবু, কি হ’ল? আপনার ভুঁড়িটা কি ফট্ ক’রে ফেটে গেল?”

 সুন্দরবাবু ক্রুদ্ধ স্বরে বললেন, “যাও, যাও! দেখতে যেন পাও নি, আবার ন্যাকামি করা হচ্ছে! কুমারবাবু, আপনার ঐ হতচ্ছাড়া কুকুরটাকে এবার থেকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখবেন। আমাকে দেখলেই ও-বেটা কোত্থেকে ছুটে এসে ফোঁশ্‌ ক’রে আমার পায়ের ওপরে নিঃশ্বাস ফেলে কি শোঁকে, বলতে পারেন মশাই?”

 মাণিক বললে, “আপনার পাদপদ্মের গন্ধ বাঘার বোধ হয় ভালো লাগে।”

 —“ইয়ার্কি কোরো না মাণিক, তোমার ইয়ার্কি বাঘার ব্যবহারের