পাতা:অমৃত-দ্বীপ - হেমেন্দ্রকুমার রায় (১৯৪০).pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অমৃত দ্বীপ

 -“আমার কথা ছেড়ে দিন। আগে বলুন, আপনার কি মত?”

 -“হুম্, আমার কেমন সন্দেহ হচ্ছে! বিমল আর কুমার বাবুর মাথায় তোমাদেরও চেয়ে বোধ হয় বেশী ছিট্ আছে!”—ব’লেই সুন্দরবাবু ফোঁঁশ, ক’রে একটা নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।

 —“হঠাৎ অমন দীর্ঘশ্বাস ফেললেন কেন?”

 —“কি জানো ভায়া, প্রথমটা আমার কিঞ্চিৎ লোভ হয়েছিল। এখন মনে হচ্ছে, সবই ভুয়ো! যা নয় তাই!”

 —“কিসের লোভ সুন্দরবাবু?”

 —“ঐ অমর-লতার লোভ আর কি! ভেবেছিলুম দু-একটা অমৃত-ফল খেয়ে যমকে কলা দেখাব। কিন্তু এখন যতই ভেবে দেখছি ততই হতাশ হয়ে পড়ছি। আমরা ছুটেছি মরীচিকার পিছনে, কেবল কাদা ঘেঁটেই ফিরে আসতে হবে।”

 —“তাহ’লে আপনি কেবল অমর হবার লোভেই বিমলবাবুদের অতিথি হয়েছেন?”  —“না বলি আর কেমন করে? অমর হ’তে কে না চায়?”

 —“অমর হওয়ার বিপদ কত জানেন?”

 —“বিপদ?”

 —“হ্যাঁ। দু-একটার কথা বলি শুনুন। ধরুন, আপনি অমর হয়েছেন। তার পর কুমারবাবুর কুকুর বাঘা হঠাৎ পাগ্‌লা হয়ে গিয়ে আপনাকে কামড়ে দিলে। তখন কি হবে?”

 —“হুম্, কী আবার হবে? আমি হাইড্রোফোবিয়া রোগের চিকিৎসা করাব!”