পাতা:অমৃত-দ্বীপ - হেমেন্দ্রকুমার রায় (১৯৪০).pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অমৃত-দ্বীপ
১১

পেলেও আমরা দুঃখিত হব না। অন্তত যে ক’দিন পারি রূপকথার রঙিন কল্পনায় মনকে স্নিগ্ধ ক’রে তোলবার অবকাশ তো পাব! আর ওরই মধ্যে থাকবে যেটুকু অ্যাড্‌ভেঞ্চার, সেটুকুকে মস্ত লাভ ব’লেই মনে করব!”

 এমন সময়ে একজন নাবিক এসে খবর দিলে, বিমল সবাইকে এখনি ডেকের উপরে যেতে বলেছে।

 সকলে উপরে গিয়ে দেখলে, ডেকের রেলিংয়ের উপরে ঝুঁকে বিমল দাঁড়িয়ে রয়েছে, তার চোখে দূরবীণ।

 জয়ন্ত জিজ্ঞাসা করলে, “বিমলবাবু কি আমাদের ডেকেছেন?” *

 বিমল ফিরে বললে, “হ্যাঁ জয়ন্তবাবু! পশ্চিম দিকে তাকিয়ে দেখুন।”

 পশ্চিম দিকে চেয়েই জয়ন্ত দেখতে পেলে, একখানা জাহাজ তাদের দিকে বেগে এগিয়ে আসছে।

 বিমল বললে, “আমি খুব ভোরবেলা থেকেই ও জাহাজখানাকে লক্ষ্য করছি। প্রথমটা ওর ওপরে আমার সন্দেহ হয় নি। কিন্তু তার পরে বেশ বুঝলুম, ও আসছে আমাদেরই পিছনে। জানেন তো এখানকার সমুদ্রে চীনে-বোম্বেটেদের কি-রকম উৎপাত খুব সম্ভব, আমাদের শত্রুরা কোন বোম্বেটে জাহাজের আশ্রয় নিয়েছে। দূরবীণ দিয়ে দেখা যাচ্ছে, ও-জাহাজখানায় লোক আছে অনেক-আর অনেকেরই হাতে রয়েছে বন্দুক। আমাদের কাপ্তেন-সায়েবের সঙ্গে আমি আর কুমার পরামর্শ করেছি। কাপ্তেন বললেন, জলে ওরা আক্রমণ করলে আমাদের পক্ষে আত্মরক্ষা করা সহজ হবে না।”