পাতা:অমৃত-দ্বীপ - হেমেন্দ্রকুমার রায় (১৯৪০).pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
অমৃত দ্বীপ

 —“তাহ’লে উপায়?”

 —“দক্ষিণ দিকে তাকিয়ে দেখুন।”

 দক্ষিণ দিকে মাইল-দুয়েক তফাতে রয়েছে ছোট্ট একটি তরুশ্যামল দ্বীপ।

 —“আমরা আপাতত ঐ দ্বীপের দিকেই যাচ্ছি! আশা করি শত্রুদের জাহাজ আক্রমণ করবার আগেই আমরা ঐ দ্বীপে গিয়ে নামতে পারব। তার পর পায়ের তলায় থাকে যদি মাটি, আর একটা যুৎসই স্থান যদি নির্ব্বাচন করতে পারি, তাহলে এক হাজার শত্রুকেও আমি ভয় করি না। আপনার কি মত?”

 জয়ন্ত বললে, “বিমলবাবু, এ অভিযানের নায়ক হচ্ছেন আপনি। আমরা আপনার সহচর মাত্র। আপনার মতেই আমাদের মত।”

 সুন্দরবাবু নীরস স্বরে বললেন, “তাহ’লে সত্যি-সত্যিই আমাদের যুদ্ধ করতে হবে?”

 কুমার বললে, “তা ছাড়া আর উপায় কি? বিনা যুদ্ধে ওরা আমাদের মুক্তি দেবে ব’লে বোধ হয় না। তবে আশার কথা এই যে, আমরা ওদের আগেই ডাঙায় গিয়ে নামতে পারব।”

 সুন্দরবাবু বিষণ্ণভাবে বললেন, “এর মধ্যে আশা করবার মত কিছুই আমি দেখতে পাচ্ছি না। ঐ চীনে বোম্বেটে-বেটারাও তো দলে দলে ডাঙায় গিয়ে নামবে?”

 —“ভুলে যাবেন না, আমরা থাকব ডাঙায়, গাছপালা বা ঢিপিঢাপা বা পাথরের আড়ালে লুকিয়ে। আমাদের এই অটোমেটিক বন্দুকগুলোর সুমুখ দিয়েই নৌকোয় ক’রে ওদের ডাঙার ওপরে উঠতে হবে।