পাতা:অমৃত-দ্বীপ - হেমেন্দ্রকুমার রায় (১৯৪০).pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অমৃত দ্বীপ
১৩

আমাদের এক-একটা অটোমেটিক বন্দুক প্রতি মিনিটে কত গুলি বৃষ্টি করতে পারে জানেন তো? সাতশো! আধুনিক বিজ্ঞানের অদ্ভুত মারণাস্ত্র!”

 সুন্দরবাবু ভয়ে ভয়ে বললেন, “কিন্তু এ-ভাবে মানুষ খুন ক’রে শেযটা আইনের পাকে আমাদেরও বিপদে পড়তে হবে না তো?”

 কুমার হেসে বললে, “সুন্দরবাবু, এ জায়গা হচ্ছে অরাজক। এই বোম্বেটেদের জল-রাজ্যে একমাত্র আইন হচ্ছে— হয় মারো, নয় মরো।”

 সুন্দরবাবু একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, “হুম্!”

 বিমল তখন আবার চোখে দূরবীণ লাগিয়ে শত্রু-জাহাজের গতিবিধি লক্ষ্য করছিল। কিন্তু সে জাহাজ তখন এত কাছে এসে পড়েছে যে আর দূরবীণের দরকার হয় না। খালি চোখেই বেশ দেখা যাচ্ছে, তার ডেকের উপরে দলে দলে চীনেম্যান ব্যস্ত, উত্তেজিত ভাবে এদিকে-ওদিকে আনাগোনা বা ছুটাছুটি করছে!

 হঠাৎ বিমল দূরবীণ নামিয়ে আবার ফিরে দাঁড়াল। তার মুখ বিবর্ণ, দৃষ্টি ভয়-চকিত।

 বিমলের মুখে-চোখে ভয়ের চিহ্ন! এটা যে অসম্ভব! কুমার রীতিমত অবাক্ হয়ে গেল।

 জয়ন্ত বিস্মিত স্বরে বললে, “কি হ’ল বিমলবাবু, আপনার মুখচোখ অমনধারা কেন?”

 বিমল দূরবীণটা জয়ন্তের হাতে দিয়ে গম্ভীর স্বরে বললে, “শত্রুজাহাজের পিছনে চেয়ে দেখুন, বোম্বটেদেরও চেয়ে ভয়াবহ এক শত্রু আমাদের গ্রাস করতে আসছে! আমি এখন ‘ব্রিজে’র ওপরে