পাতা:অমৃত-দ্বীপ - হেমেন্দ্রকুমার রায় (১৯৪০).pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
অমৃত-দ্বীপ

হবে দুই শত্রুর সঙ্গে! ঐ দেখুন, ‘সেলর’রা এরি মধ্যে ‘লাইফ-বোট’ ভাসিয়ে ফেলেছে! ঐ শুনুন, ‘মেগাফোনে’ কাপ্তেন-সায়েবের গলা! তিনি আমাদের নৌকোয় তাড়াতাড়ি নামতে বলছেন—নইলে ঝোড়ো ঢেউ এখানেও এসে পড়তে পারে! চলুন, আর দেরি নয়। রামহরি, তুমি বাঘাকে সামলাও!”:

 লাইফ-বোট যেখানে থামল, সেখানে জলের ধার থেকেই একটি ছোট্ট পাহাড় প্রায় একশো ফুট উঁচু হয়ে উঠেছে।

 বিমল বললে, “এইখানেই বন্দুক নিয়ে আমরা সবাই পাথরের আড়ালে অপেক্ষা করব। বোম্বেটেরা আমাদের বন্দুক এড়িয়ে নিতান্তই “যদি ডাঙায় এসে নামে, তাহ’লে অবস্থা বুঝে অন্য ব্যবস্থা করতে হবে। আপাতত এই পাহাড়টাই হবে আমাদের দুর্গ। কি বল কুমার, কি বলেন জয়ন্তবাবু?”

 জয়স্তু বল্‌লে, “সাধু প্রস্তাব। কিন্তু বিমলবাবু, একটা গোলমাল শুনতে পাচ্ছেন?”

 —“হুঁ, ঝোড়া বাতাসের গেঁ-গোঁ হু-হু, সমুদ্রের হুঙ্কার!”

 কুমার বলে, “কেবল তাই নয়—দূর থেকে যেন অনেক মানুষের কোলাহলও ভেসে আসছে!”

 রামহরি বললে, “এতক্ষণ চারিদিক গুমোট্ ক’রে ছিল, এখন জোর হাওয়ায় এখানকার গাছপালাগুলো নুয়ে নুয়ে পড়ছে! ঝড় বোধ হয় এল!”

 মাণিক বলে, “ঝড় এল, কিন্তু বোম্বেটে জাহাজ কোথায়?”

 সুন্দরবাবু বললেন, “হুম্!”