সুন্দরবাবু জলের ভিতরে ঝাঁপিয়ে প’ড়ে একটি সুদীর্ঘ “আঃ” উচ্চারণ করলেন। তারপর বললেন, “বাঃ, তোমাদের বাঘা দেখছি যে দিব্যি সাঁতার কাটছে! আমিও একটু সাঁতার দিয়ে নি! কি চমৎকার ঠাণ্ডা জল! দেহ যেন জুড়িয়ে গেল!”
জল কেবল ঠাণ্ডা নয়, নীলিমা—মাখানো সুন্দর, স্বচ্ছ। তলাকার প্রত্যেক বালু-কণাটি পর্যন্ত স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে—এখানকার জলের মধ্যে কোনই অজানা রহস্য নেই। কাজেই সুন্দরবাবু মনের সুখে নির্ভয়ে সাঁতার কাটতে লাগলেন ।
দূর থেকে মাণিক চীৎকার ক’রে বললে, “উঠে আসুন সুন্দরবাবু, অত আর সাঁতার কাটতে হবে না! এখানকার সমুদ্রে হাঙর আছে!”
সুন্দরবাবু আঁৎকে উঠে বললেন, “হুম্, কি বললে? হাঙর? তাই তো হে, এ-কথা তো এতক্ষণ মনে হয় নি! বাব্বাঃ! দরকার নেই আমার সাঁতার কেটে!”—তিনি তীরের দিকে ফিরলেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই অনুভব করলেন জলের ভিতর থেকে প্রাণপণে কে তাঁর কোমর জড়িয়ে ধরলে!
—“ওরে বাবা রে, হুম্—হুম্! হাঙর, হাঙর! জয়ন্ত, মাণিক, রমহরি! আমাকে হাঙরে ধরেছে—হু-হু-হু-হু-হুম্!”
রামহরি একটু তফাতে ছিল। কিন্তু সেইখান থেকেই সে স্তম্ভিত নেত্রে বেশ দেখতে পেলে যে, সুন্দরবাবুর দেহের সঙ্গে সংলগ্ন হয়ে রয়েছে, সুদীর্ঘ একটা ছায়ামূর্ত্তি!
সুন্দরবাবু পরিত্রাহি চীৎকার ক’রে বললেন, “বাঁচাও, আমাকে বাঁচাও! হাঙর নয়, এ যে একটা মানুষ! এ যে মড়া! ওরে বাবা,