এ যে ভূত! এ যে আমাকে জলের ভিতরে টানছে—ও জয়ন্ত, ও মাণিক!”
বিমল, কুমার জয়ন্ত ও মাণিক, তীরের মত পাহাড় থেকে নেমে এল। ভুতের নামে রামহরি একবার শিউরে উঠল বটে, কিন্তু তখনি সে দুর্ব্বলতা সামলে নিয়ে বেগে সাঁতার কেটে সুন্দরবাবুর দিকে অগ্রসর হ’ল। কিন্তু সর্ব্বাগ্রে সুন্দরবাবুর কাছে গিয়ে পড়ল বাঘা—তার দুই চক্ষু জ্বলছে তখন তীব্র উত্তেজনায়!
—“আর পারছি না, একটা জ্যান্তো মড়া আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে—বাঁচাও!”
তৃতীয় পরিচ্ছেদ
জীবন্ত মৃতদেহ
—“ডুবে মলুম, ডুবে মলুম, বাঁচাও!”—সুন্দরবাবু আবার একবার চেঁচিয়ে উঠলেন।
তিনি বেশ অনুভব করলেন, দু’খানা অস্থিচর্মসার, কিন্তু লোহার মতন কঠিন এবং বরফের মতন ঠাণ্ডা-কন্কনে বাহু তাঁকে জড়িয়ে ধ’রে পাতালের দিকে টানছে, ক্রমাগত টানছে!
দারুণ ভয়ে আচ্ছন্ন হয়ে তিনি তার দিকে ভালো ক’রে তাকাতে পারলেন না বটে, কিন্তু আব্ছা-আব্ছা যেটুকু দেখতে পেলেন তাই-ই হ’ল তাঁর পক্ষে যথেষ্ট। সে হচ্ছে একটা মৃত-মানুষের—জীবন্ত মৃত মানুষের—মূর্ত্তি, আর তার চোখদুটো হচ্ছে মরা মাছের মত!