পাতা:অমৃত-দ্বীপ - হেমেন্দ্রকুমার রায় (১৯৪০).pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
২৬
অমৃত-দ্বীপ

 রামহরি দু-হাতে জল কেটে এগুতে এগুতে সভয়ে দেখলে, “হুম্” ব’লে বিকট এক চীৎকারের সঙ্গে সঙ্গে সুন্দরবাবু হুস্ ক’রে ডুবে গেলেন এবং সেই মুহূর্তে বাঘাও দিলে জলের তলায় ডুব।

 ওদিকে বিমল, কুমার, জয়ন্ত ও মাণিকও ততক্ষণে জলে ঝাঁপ দিয়ে এগিয়ে আসছে।

 কিন্তু তাদের আর বেশীদূর এগিয়ে আসতে হ’ল না হঠাৎ দেখা গেল, সুন্দরবাবু আবার ভেসে উঠে প্রাণপণে সাঁতার কেটে তীরের দিকে ফিরে আসছেন! বাঘাও আবার ভেসে উঠেছে!

 রামহরি খুব কাছে ছিল । সে দেখতে পেলে, জলের উপরে খানিকটা রক্তের দাগ এবং বাঘার মুখও রক্তাক্ত।

 ব্যাপারটা বুঝে তারিফ ক’২৬রে সে বললে, “বাহাদুর বাঘা, বাহাদুর!”  কিন্তু সেই আশ্চর্য্য ও অসম্ভব মূর্তিটার আর কোন পাত্তাই পাওয়া গেল না।

 সকলে ডাঙার উপরে উঠল। সুন্দরবাবু আর রামহরি ও বাঘা ছাড়া সে বিকট মূর্তিটাকে আর কেউ দেখে নি, সুতরাং আসল ব্যাপারটাও এখনো কেউ বুঝতে পারলে না।

 বালির উপরে হাত-পা ছড়িয়ে লম্বা হয়ে শুয়ে প'ড়ে সুন্দরবাবু হাঁপাতে লাগলেন হাপরের মত।

 বিমল জিজ্ঞাসা করলে, “সুন্দরবাবু, আপনাকে কি হাঙরে ধরেছিল?”

 কুমার বললে, “না বিমল, তা হ'তে পারে না। হাঙরে ধরলে উনি অমন অঙ্কত দেহে ফিরে আসতেন না। ”