বিমল বললে, “হুঁ, সে কথা ঠিক। কিন্তু তবে কে ওঁকে জলের ভেতরে আক্রমণ করতে পারে ?”
সুন্দরবাবু বেদম হয়ে খালি হাঁপান ! এখন তাঁর একটা “হুম্” পর্য্যন্ত বলবার শক্তি নেই। বাঘা গম্ভীর মুখে এসে সুন্দরবাবুর সর্ববাঙ্গ শুঁকে বোধ হয় পরীক্ষা করে দেখলে যে, তাঁর দেহ অটুট আছে কি না ! পরীক্ষার ফল নিশ্চয়ই সন্তোষজনক হ’ল, কারণ ঘন ঘন ল্যাজ নেড়ে সে মনের আনন্দ প্রকাশ করতে লাগল ।
জয়ন্ত বললে, “এখানে জলের ভেতরে অক্টোপাস থাকে না তো ?”
রামহরি বললে, “কি বললেন ?”
-“অক্টোপাস।”
-“তাকে কি মানুষের মতন দেখতে ?”
—“মোটেই নয়। তোমাকে কতকটা বোঝাবার জন্যে বরং বলা যায়, তাকে দেখতে অনেকটা বিরাট ও অদ্ভুত মাকড়সার মত। সমুদ্রের জলে তারা লুকিয়ে থাকে আর আটখানা পা দিয়ে জড়িয়ে শিকার ধরে মাংস-রক্ত শুষে খায়।”
-- – “না বাবু, না । আপনি যে কিম্ভুতকিমাকার জানোয়ারের কথা বললেন নিশ্চয়ই সেটা ভয়ানক, কিন্তু সুন্দরবাবুকে যে জড়িয়ে ধরেছিল তাকে দেখতে মানুষের নত।”
বিমল হো-হো ক’রে হেসে উঠে বললে, “কি যে বল রামহরি ! মানুষ কি জলচর জীব ? জলের ভিতর থেকে আক্রমণ ক’রে সে কি এতক্ষণ ধ'রে জলের তলাতেই ডুব মেরে থাকতে পারে ?”
মাণিক মুখ ফিরিয়ে দেখলে, সেই বিশাল হ্রদের মত জলরাশি