চিনতে পারি নি। এবার থেকে আর তোকে আমি কিছু বলব না, ভালো ভালো খাবার খেতে দেব। খাসা কুকুর, লক্ষ্মী কুকুর!”
মাণিক বল্লে, “সুন্দরবাবু, আপনি নিশ্চয় মৎস্যনারী আর নাগকন্যার গল্প শুনেছেন?”
সুন্দরবাবু বেশ বুঝলেন মাণিকের মাথায় কোন নতুন দুষ্টুমি বুদ্ধির উদয় হয়েছে, তাঁর পিছনে লাগা হচ্ছে তার চিরকেলে স্বভাব। বলেন, “হুঁ, শুনেছি। কি হয়েছে তা?”
—“আমার বোধ হয় কোন মৎস্য-নারী কি নাগ-কন্যা আপনাকে ধরে নিয়ে যেতে এসেছিল।” একটু গরম হয়ে সুন্দরবাবু বল্লেন, “আমাকে ধ’রে নিয়ে গিয়ে সে কি করত?”
—“বিয়ে করত। আপনাকে দেখে তার পছন্দ হয়েছিল কিনা। ” একেবারে মারমুখো হয়ে সুন্দরবাবু বল্লেন, “চোপরাও মাণিক, চোপরাও! তোমার মতন ত্যাদোড় আমি জীবনে আর দেখি নি, আমার হাতে একদিন তুমি মার খাবে জেনো।”
— বিমল গম্ভীর মুখে ভাবতে ভাবতে বল্লে, “জয়ম্ভবাবু, আপনি কিছু আন্দাজ করতে পারছেন?” ——“কিছু না। ভ্রম হয়েছে।” হ'ল?” কেবল এইটুকু বুঝতে পারছি, সুন্দরবাবুর চোখের
—“সুন্দরবাবুর আর রামহরির— দু'জনেরই একসঙ্গে চোখের ভ্রম
-“ড্রাগনের দুঃস্বপ্ন মামলার ফলেই আজ আমরা এখানে এসেছি