পাতা:অমৃত-দ্বীপ - হেমেন্দ্রকুমার রায় (১৯৪০).pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৩০
অমৃত-দ্বীপ

সেই মামলাটার কথা ভেবে দেখুন। লোকের পর লোক দেখতে লাগল, শূন্য-পথে ছায়ামূর্ত্তির মতন, কে উড়ে যায়। কিন্তু তারা সকলেই কি ভুল দেখে নি?......হুঃ, জ্যান্তো মড়া! পিশাচ! সে আবার বাস করে জলের তলায়! বলেন কি মশাই, এ-সব কি বিশ্বাস করবার কথা?”

 —“বিশ্বাস আপনাকে কিছুই করতে বলছি না জয়ন্তবাবু! কিন্তু আমার মত হচ্ছে, এ ব্যাপারটার মধ্যে কোন অলৌকিক বা অসাধারণ রহস্য থাকলেও থাকতে পারে। জীবনে অনেকবারই আমাকে আর কুমারকে এমন সব ঘটনার মধ্যে গিয়ে পড়তে হয়েছে, যা অলৌকিক ছাড়া আর কিছুই নয়। বলতে কি, অলৌকিক ব্যাপার দেখে দেখে এখন আমাদের গা-সওয়া হয়ে গেছে। আর এটাও ভুলবেন না যে, আজ আমরা সকলেই চলেছি কোন্ এক অজানা দেশে, কেবল অলৌকিক দৃশ্য দেখবারই আশায়। এখন আমরা সেই অমৃত-দ্বীপের খুব কাছে এসে পড়েছি। আজ হয়তো এইখান থেকেই অলৌকিক রহস্যের আরম্ভ হ’ল! ঐ শুনুন, জাহাজ থেকে আবার আমাদের ডাকছে, সন্ধ্যাও হয়েছে, আর এখানে নয়।”

 ‘পাম্‌’-জাতীয় একদল গাছের ফাঁক দিয়ে পূর্ণিমা-চাঁদের মুখ উকি মারছিল সকৌতুকে। জলে-স্থলে-শূন্যে সর্ব্বত্রই জ্যোৎস্নার রূপলেখা পড়েছে ছড়িয়ে এবং দিনের সঙ্গে রাতের ভাব হয়েছে দেখে অন্ধকার আজ যেন ভয়ে নিজ-মূর্ত্তি ধারণ করতে পারছে না।

 সকলে একে একে ‘লাইফ-বোটে’ গিয়ে উঠল! হ্রদের স্বচ্ছ জল ভেদ ক’রে চাঁদের আলো নেমে গিয়েছে নীচের দিকে। কিন্তু তাদের