পাতা:অমৃত-দ্বীপ - হেমেন্দ্রকুমার রায় (১৯৪০).pdf/৪৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩৮
অমৃত-দ্বীপ

বিশেষত্ব। হাজার ভয় পেলেও উনি ক্ষিধে ভোলেন না! হয়তো মৃত্যুকালেও উনি অন্তত এক ডজন লুচি আর একটা গোট৷ ফাউল-রোষ্ট খেতে চাইবেন!”

 সুন্দরবাবু খ্যাঁক্-খ্যাঁক্ ক’রে ব’লে উঠলেন, “মাণিক, ফের তুমি ফ্যাচ্‌ফ্যাচ্ করছ! ফাজিল ছোক্‌রা কোথাকার!”

* * * *

 “লিট্ল্ ম্যাজেষ্টিক্” জল কেটে সমুদ্রের নীল বুকে সাদা ফেনার উচ্ছ্বাস রচনা করতে করতে এগিয়ে চলেছে। মেঘশূন্য নীলাকাশ থেকে ঝ’রে পড়ছে পরিপূর্ণ রৌদ্র।

 ক্রমে রোদের আঁচ্ ক’মে এল, সূর্য্যের রাঙা মুখ পশ্চিম আকাশ দিয়ে নামতে লাগল নীচের দিকে।

 কুমার ডেকের উপরে এসে দেখলে, পূর্ব্ব‌দিকে তাকিয়ে বিমল চুপ ক’রে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার কাছে গিয়ে বল্‌লে, “কি শুনছ বিমল? মহাসাগরের চিরন্তন সঙ্গীত?”

 —“আমি কিছুই শুনছি না ভাই! আমি এখন পূর্ব্বদিকে একটা দৃশ্য দেখবার চেষ্টা করছি।”

 —সূর্য্যাস্তের দেরি নেই। এখন তো রঙিন দৃশ্যপট খুলবে পশ্চিম আকাশে। আজ প্রতিপদ, চাঁদও আসবে খানিক পরে। তবে পূর্ব্বদিকে এখন তুমি কি দেখবার আশা কর?”

 —“যে আশায় এতদূর এসেছি।”

 —“মানে ?”

 —“কুমার, এইমাত্র দুরবীণে দেখলুম পূর্ব্বদিকে একটি পাহাড়ে-