ঘেরা দ্বীপকে—তার একদিকে রয়েছে পাশাপাশি পাঁচটি শিখর! আমি সেই দিকেই তাকিয়ে আছি। খালি চোখেও ওকে দেখা যাচ্ছে, কিন্তু তুমি ভালো ক’রে দেখতে চাও তো এই নাও দুরবীণ।”
কুমার বিপুল আগ্রহে দুরবীণটা নিয়ে তাড়াতাড়ি চোখে তুলে অবাক্ হয়ে দেখলে, বিমলের কথা সত্য!
ছোট্ট একটি দ্বীপ। তার পায়ে উছ্লে প’ড়ে নমস্কার ক’রে বয়ে যাচ্ছে সমুদ্রের চঞ্চল ঢেউ এবং তার মাথার উপরে উড়ছে আকাশের পটে চলচ্চিত্রের মত সাগর-কপোতরা। পশ্চিম আকাশের রক্ত সূর্য্য যেন নিজের পুঁজি নিঃশেষ ক’রে সমস্ত কিরণ মালা জড়িয়ে দিয়েছে ঐ দ্বীপবাসী শ্যামল শৈলশ্রেণীর শিখরে। হঠাৎ দেখলে মনে হয়, ও যেন মায়াদ্বীপ, চোখকে ফাঁকি দিয়ে ও যেন এখনি ডুব মারতে পারে অতল নীলসাগরে!
ততক্ষণে জয়ন্ত ও মাণিকের সঙ্গে সুন্দরবাবুও জাহাজের ধারে এসে দাঁড়িয়েছেন এবং রামহরিরও সঙ্গে এসেছে বাঘা। দ্বীপটিকে খালিচোখেও দেখা যাচ্ছিল, সকলে কৌতূহলী হয়ে তার দিকে তাকিয়ে রইল।
কুমার বললে, “ওহে বিমল, দ্বীপটি তো দেখছি একরকম পাহাড়ে মোড়া বল্লেই হয়! পাহাড়ের গা একেবারে খাড়া উঠে গিয়েছে উপরদিকে অনেকখানি। ও দ্বীপ যেন পাহাড়ের উঁচু পাঁচিল তুলে সমস্ত বাইরের জগৎকে আলাদা করে দিয়েছে, ওর ভিতরে যেন বাইরের মানুষের প্রবেশ নিষেধ! ও দ্বীপে ঢোকবার পথ কোন্ দিকে?”
বিমল পকেট থেকে অমৃত-দ্বীপের নক্সা বার ক’রে বল্লে, “এই দেখ। দ্বীপের উত্তর-পশ্চিম কোণে পাঁচ-পাহাড়ের সব-চেয়ে উঁচু