বিমল বল্লে, “জয়ন্তবাবু, দ্বীপে ঢোকবার নদীর মুখেই আমাদের জাহাজ নঙ্গর করেছে। এখন যদি বোটে ক’রে আমরা একবার দ্বীপের ভিতরটা ঘুরে আসি?”
মাণিক বল্ লে, “কি সর্ববনাশ, এই রাত্রে?”
জয়ন্ত বল্লে, “লুকিয়ে খবরাখবর নেবার পক্ষে রাত্রিই তো ভালো সময়, মাণিক! চাঁদের ধবধবে আলো রয়েছে, আমাদের কোনই অসুবিধা হবে না।”
বিমল বল্লে, “আজ আমরা দ্বীপের খানিকটা দেখেই ফিরে আসব। আমি, কুমার আর জয়ন্তবাবু ছাড়া আজ আর কারুর যাবার দরকার নেই। ফিরে আসবার পর কাল সকালে আমাদের আসল অভিযান শুরু হবে।”
মাণিক নারাজের মতন মুখের ভাব ক’রে বল্লে, “কিন্তু যদি আপনারা কোন বিপদে পড়েন?”
—“বিপদের সম্ভাবনা দেখলেই স’রে পড়ব। নয়তো একসঙ্গে তিনজনেই বন্দুক ছুঁড়ে সঙ্কেত করব। উত্তরে আপনারাও বন্দুক ছুঁড়ে আমাদের জানিয়ে জাহাজের নাবিকদের নিয়ে সদলবলে দ্বীপের ভিতরে প্রবেশ করবেন।”
চন্দ্রালোকের স্বপ্নজাল ভেদ ক'রে তাদের নৌকা ভেসে চল্ল দ্বীপের নদীতে নাচতে নাচতে। নৌকোর দাঁড় টানছে বিমল ও জয়ন্ত, হাল ধরেছে কুমার। চুপিচুপি কাজ সারবে বলে তারা নাবিকদেরও সাহায্য নেয় নি।