কুমার চমৎকৃত কণ্ঠে বললে,“ও কারা গান গাইছে? ও গান আসছে কোথা থেকে?”
বিমল নদীর বাম তীরের দিকে চেয়ে দেখলে। প্রথমটা খোলা জমি, তার পর অরণ্য।
সে বল্লে, “মনে হচ্ছে গান আসছে ঐ বনের ভিতর থেকে। নৌকো তীরের দিকে নিয়ে চল কুমার! কারা ও গান গাইছে সেটা না জেনে ফেরা হবে না।”
খানিক পরেই নৌকো তীরে গিয়ে লাগল। বিমল, কুমার ও জয়ন্ত নিজের নিজের বন্দুক নিয়ে ডাঙায় নেমে পড়ল।
বিমল বল্লে, “খুব সাবধানে,চারিদিকে নজর রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
তারা ধীরে ধীরে অগ্রসর হল নরম ঘাসে ঢাকা এক মাঠের উপর দিয়ে। সেই অদ্ভুত সম্মিলিত সঙ্গীতের স্বর স্তরে স্তরে উপরে আসে। উপরে উঠছে এবং তার ধ্বনি জাগিয়ে দিচ্ছে বহুদূরের প্রতিধ্বনিকে! সে যেন এক অপার্থিব সঙ্গীত,ভেসে আসছে নিশীথরাতের রহস্যময় বুকের ভিতর থেকে!
যখন তারা বনের কাছে এসে পড়েছে, কুমার হঠাৎ পিছন ফিরে তাকিয়ে চকিত স্বরে বলে,“বিমল,বিমল! পিছনে কারা আসছে দেখ!”
বিমল ও জয়ন্ত একসঙ্গে ফিরে দাঁড়িয়ে স্তম্ভিত নেত্রে দেখলে,নদীর দিক থেকে সার বেঁধে এগিয়ে আসছে বহু-বহু মূর্ত্তী! সংখ্যায় তারা পাঁচ-ছয়শোর কম হবে না!