পাতা:অলৌকিক নয়, লৌকিক (তৃতীয় খণ্ড) - প্রবীর ঘোষ.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬
অলৌকিক নয়, লৌকিক [তৃতীয় খণ্ড]

নিয়েছিলাম। অর্থাৎ আমি, সুমিত্রা, পিনাকী, সোনালী ও মানসীকে। আমাদের ছবি দেখিয়ে ফতোয়া জারি করেছিলেন ক্রুদ্ধ, অর্থ ও ক্ষমতাগর্বে গর্বিত সত্যানন্দ।

 আমি অভিযোগ দায়ের করি রাজ্য পুলিশের সদর দপ্তর ভবানী ভবনে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী মিডিয়াগুলো বিশাল হই-চই তোলে। তার-ই একটি অতি ক্ষুদ্র অংশ নমুনা হিসেবে তুলে দিচ্ছি—

বিকেলের প্রতিদিন ১৫ মার্চ ২০০৫ মঙ্গলবার ১ চৈত্র ১৪১১ • ১ টাকা


খুনের হুমকি : জ্যোতিষীকে ধরতে তল্লাশি

স্টাফ রিপোর্টার : জ্যোতিষী তথা ভাগ্য গণনা নিয়ে ভণ্ডামির জেরে এবার এক বিখ্যাত জ্যোতিষীকে গ্রেফতারের উদ্যোগ নিল সিআইডি। সোমবার রাতে এই জ্যোতিষীর সন্ধানে উত্তর শহরতলীর বিস্তীর্ণ অঞ্চলে হানা দেন সিআইডি কর্তারা। কিন্তু আগেভাগে গা ঢাকা দেন বারাসতের কাজিপাড়ার বাসিন্দা ওই জ্যোতিষী স্বামী সত্যানন্দ। সিআইডি স্বামী সত্যানন্দকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। ওই কেবল চ্যানেল থেকেই যুক্তিবাদী সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর ঘোষ সহ একাধিক ব্যক্তিকে ভয় ও খুনের হুমকি দেন ওই জ্যোতিষী। প্রবীরবাবু সিআইডি-র কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানান। তার পরে নড়েচড়ে বসেন সিআইডি কর্তারা। তোড়জোড় শুরু হয় গ্রেফতারের। সোমবার সংবাদ প্রতিদিনের দফতরে কেবল টিভিতে জ্যোতিষ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন ছাত্র নেতারা, জ্যোতিষী থেকে যুক্তিবাদী সমিতির কর্তারা। প্রত্যেকেই জ্যোতিষী নিয়ে ভণ্ডামির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান মানুষকে। ভণ্ড জ্যোতিষীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান প্রত্যেকে। মঙ্গলবার সংবাদপত্রে খবর প্রকাশ হতেই সংবাদ প্রতিদিনের দফতরে অসংখ্য ফোন আসে। প্রত্যেকেই ফোনে ভণ্ড জ্যোতিষীর বিরুদ্ধে ছাত্র নেতাদের জেহাদে সহমত পোষণ করেন। সিআইডি ডিআইজি (অপারেশন) রাজীবকুমার জানান, স্বামী সত্যানন্দকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। কেবল চ্যানেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনুষ্ঠানটি ছিল একটি বেসরকারি প্রযোজক সংস্থার। তারা চ্যানেল থেকে সময় কিনে নিয়ে অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছিল। সত্যানন্দ চ্যানেলকে ব্যবহার করে খুনের হুমকি দেওয়ার জন্য তারপরে চ্যানেলের পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়। সত্যানন্দের অনুষ্ঠানও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিন দিন আগে ন্যাশানাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের প্রতিনিধিরা স্বামী সত্যানন্দের বাড়িতে শুটিংয়ে যান। সেখানেই বিপত্তি ঘটে।