কেমন করে ভবিষ্যৎ দেখতেন নস্ট্রাডামুস?
নস্ট্রাডামুস তাঁর ভবিষ্যৎ-দর্শনের কায়দা লিখে গেছেন প্রথম ‘সেঞ্চুরি’র প্রথম আর দ্বিতীয় কবিতাতে। প্রথম কবিতা হল এই :
Estant assis de nuict secret estude
Seul repose sur la selle d’aerain;
Flambe erigue sortant de solitude
Fait prosperer qui n’est a croire vain.
এর অর্থ হল :
রাত্রে একা গোপন বই পড়তে বসে
এটিকে চাপানো হয় পেতলের তেপায়ার ওপর;
ফাঁকার মধ্যে থেকে একটা মৃদু আলো বেরোয়
আর অবিশ্বাস্য সব তথ্য দিয়ে যায়, যা কষ্ট করেও জানা যায় না।
এ পদ্ধতি নস্ট্রাডামুস স্পষ্টতই জানতে পেরেছেন ‘ডে মিস্টেরিস ইজিপ্টোরাম’ বইটা থেকে। কারণ ওই বইতেই এই পদ্ধতির কথা হুবহু এভাবেই লেখা আছে। নস্ট্রাডামুসের প্রথম সেঞ্চুরির প্রথম কবিতা অনুযায়ী, যিনি ভবিষ্যৎদ্রষ্টা, তিনি রাত্রে, পড়ার ঘরে ডাকিনীবিদ্যার গোপন বইগুলি পড়ার সময়ে একটা পেতলের তেপায়ার ওপর একবাটি জল রেখে, সেই জলের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকেন। আস্তে আস্তে জলটা ঘোলা হয়ে ওঠে, আর সেই ঘোলা জলের মধ্যেই নাকি দেখা যায় ভবিষ্যতের ঘটনাবলি।
দ্বিতীয় কবিতাতেও নস্ট্রাডামুস ভবিষ্যৎ-দর্শনের পদ্ধতির কথাই বলে গেছেন। প্রথম কবিতার পরিপূরক হল দ্বিতীয় কবিতাটা। কবিতাটা হল এই :
La verge en main mise au milieu des BRANCHES
De l’onde il moulle & le limbe & le pied :
Un peur & voix fremissant par manches :
Splendeur divine. Le divin pres s’assied.
এর মানে :
হাতের জাদুদণ্ডটা ঠেকানো হয় তেপায়া টুলের পায়াতে
বাটির জলে ভিজিয়ে নেওয়া হয় আলখাল্লার হাতা, আর পায়ের পাতা :
খুব কাছে একটা কণ্ঠস্বর শোনা যায়, ভবিষ্যৎদ্রষ্টা কাঁপেন ভয়ে :
দৈবশক্তি ভর করে তার শরীরে; দেবতা নিজে এসে বসেন তার পাশে।
এই পদ্ধতিতে ভবিষ্যৎ-দর্শন করা যায় কি না, তা পাঠকরাই একবার বাড়িতে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।