কবিতা—৫ (সেঃ—২)
Qu’en dans poisson, fer & lettres enfermee,
Hors sortira qui puis fera la guerre :
Aura par mer se classe bien pramee,
Apparoissant pres de Latine terre.
অর্থাৎ :
অস্ত্রশস্ত্র আর দলিলপত্র রয়েছে একটা মাছের পেটে,
আবির্ভাব হবে এক মানুষের, যে শুরু করবে যুদ্ধ :
তার সেনাদল সাগর পেরিয়ে এগিয়ে যাবে অনেকটা,
এগিয়ে যাবে ইতালির উপকূল অবধি।
ব্যাখ্যাকারের ব্যাখ্যা : তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ১৯৮৬ সালে?
এরিকার ব্যাখ্যা অনুযায়ী মাছ বলতে আসলে নস্ট্রাডামুস আধুনিক সাবমেরিন-এর কথা বলতে চেয়েছেন। অস্ত্রশস্ত্র আর দলিলপত্র তো সাবমেরিনের পেটে থাকেই। আর এই যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার কথা লেখা হয়েছে, এটা সম্ভবত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। তারিখটাও এরিকা উল্লেখ করেছেন ১৯৮৬ সাল। কেমন করে? এরিকার মতে, প্রথম লাইনটার একটা দ্বিতীয় মানেও হতে পারে। সেই দ্বিতীয় মানেটা জ্যোতিষ-নির্ভর। দ্বিতীয়ভাবে ব্যাখ্যা করলে প্রথম লাইনটার ব্যাখ্যা দাঁড়ায়—“When Mars and Mercury are in conjungtion in Pisces." ‘conjunction’ আবার ঘটবে ১৯৮৬ সালে। (এখানে মনে রাখতে হবে, এরিকা তাঁর ব্যাখ্যার বইটা লিখেছিলেন ১৯৮৬-র অগে।) সুতরাং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগবে ১৯৮৬ সালে। আর এই যুদ্ধে ব্যবহার করা হবে সাবমেরিন।
যুক্তিবাদী বিশ্লেষণ :
আমার কিন্তু কবিতাটা পড়ে একবারও মনে হয়নি যে ‘মাছ’ বলে নস্ট্রাডামুস আসলে ডুবোজাহাজ বোঝাতে চেয়েছিলেন। কবিতাতে স্পষ্টতই মাছের কথাই বলা আছে। কবিতাতে আরও অনেক কিছুই বলা আছে। কিন্তু এরিকা কবিতার সব লাইনের আলোচনা না করেই কেমন করে দুম করে সিদ্ধান্ত নিয়ে বসলেন যে এখানে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা বলা আছে,—বুঝলাম না।
১৯৮৬ সালে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কিন্তু লাগেনি।