বাবাজিদের লালসার শিকার
এই ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানটি হতাশাগ্রস্ত মানুষকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সমস্যা জর্জরিত অসহায় মানুষেরা ওই সমস্ত স্ব-ঘোষিত বাবাজি-মাতাজিদের লালসার শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। জ্যোতিষ শাস্ত্রের কোনও বাস্তব ভিত্তি আছে বা নেই সেই বিতর্কে না গিয়ে বলা যায়, যাঁরা মনে করেন, জ্যোতিষ একটি শাস্ত্র এবং কোনও সৎ, নিষ্ঠাবান জ্যোতিষীর দ্বারা তাঁরা কোনওভাবে উপকৃত হয়েছেন তাঁদেরও সমস্ত প্রতিবাদী মানুষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই ধরনের ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে সরব হওয়া উচিত।
সে কী মিথ্যানন্দ গণৎকার!
ফলিত জ্যোতিষে বিশ্বাসী বা অলৌকিকতায় বিশ্বাসী দুর্বলমনের মানুষের সংখ্যা আজও এ দেশে অগণিত। আর এ সব দুর্বলমনের মানুষদের অন্ধবিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে জ্যোতিষী তান্ত্রিক বাবাজি-মাতাজিরা তাদেরকে যথেচ্ছভাবে ঠকিয়ে চলেছে। এমনকী কেব্ল টিভি চ্যানেল ভাড়া করে পর্যন্ত কিছু চরমতম প্রতারক তাদের ঠগবাজি কারবার রমরমিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে। লোকটাকে দেখে হাসছ কেন?
হাততালি দিচ্ছ কেন পিছনে তার? লোকটা কে হে? সে কী মিথ্যানন্দ গণৎকার!
খেলা ভাঙার খেলা
অধিকাংশ বেসরকারি চ্যানেল জ্যোতিষীদের আখড়া চলছে চুটিয়ে জ্যোতিষী। কার সাধ্য দেবে বাগড়া। বুজরুকি, ভণ্ডামি, শঠতার পাহাড়, দেখেশুনে গা-জ্বলে বন্ধ করি আহার। অনেক হয়েছে আর নয়, এবার থামাতে হবে, এসেছে সময়। চটজলদি ভাগ্য নয় গণনা এক্কেবারে ভেক ভাঙতে হবে এদের শক্তপোক্ত ঠেক।
দেবাশিস চক্রবর্তী, গ্রিন পার্ক, বেহালা
THE TELEGRAPH
THURSDAY 31 MARCH 2005
TV healing alert
A STAFF REPORTER
Calcutta, March 30: Television programmes on astrology, Feng Shui and herbal remedy might soon be pulled off air, if the government has its way.
Health minister Surjya Kanta Mishra said: “We are seeking legal opinion to check whether these programmes, which might create confusion in the minds of people, can be stopped completely.”