আমাদের পক্ষে কারও ধর্মীয় বিশ্বাসকে আঘাত করার কথা অচিন্ত্যনীয়। আমাদের পরিষদকে হিন্দু, মুসলমান, ক্রিশ্চান সব ধর্মের সভ্যদের নিয়েই চলতে হয় এবং হবে।
পরিষদের প্রতিনিধি বুঝিয়ে দিলেন, তাঁরা বিজ্ঞান আন্দোলনের নামে অনেক কিছু করলেও বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ গড়ার বিষয়টা, সাধারণ মানুষের চেতনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টা সন্তর্পণে এড়িয়ে যেতে চান।
বিজ্ঞান আন্দোলনকে
ঘোলা করে অনেক স্বার্থন্বেষী
ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছেন। এইসব
স্বার্থান্বেষী বহুরূপীদের চিহ্নিতকরণের দায়িত্ব
বিজ্ঞান আন্দোলনকর্মী, যুক্তিবাদী আন্দোলন কর্মী এবং
সমাজ সচেতন সংস্থা ও মানুষদেরই শক্ত হাতে
পালন করতে হবে। কারণ এইসব বহুরূপীরা
অবতার ও জ্যোতিষীদের চেয়েও
অনেক বেশি বিপজ্জনক।
আন্দোলন গড়ার স্বার্থে, এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বার্থে আমাদের অনেক বেশি সৎ, সতর্ক, আপসহীন এবং নিবেদিতপ্রাণ হতে হবে—এর কোনও বিকল্প নেই।
আজ হাজারে হাজারে দামাল ছেলে-মেয়েরা শহুরে গ্রামে লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে ঘটিয়ে দেখাচ্ছেন অনেক তথাকথিত অলৌকিক কাণ্ডকারখানা। ফাঁস করছেন অলৌকিক-বাবাদের বুজরুকি। এইসব অলৌকিক বিরোধী প্রদর্শনীগুলো ‘অলৌকিক নয়, লৌকিক’ শিরোনামে আমাদের সমিতি, সহযোদ্ধা সহযোগী সংস্থাগুলো এবং খাতায় কলমে সহযোগী না হলেও সহমত পোষণকারী বহু সংস্থা পরিবেশন করে থাকেন। ‘অলৌকিক নয়, নিছক ম্যাজিক’ শিরোনামেও কিছু কিছু সংগঠন কুসংস্কার বিরোধী অনুষ্ঠান করে থাকে। কুসংস্কার মুক্তির আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে ‘অলৌকিক নয়, নিছক ম্যাজিক’ স্লোগান থেকে আমাদের বিরত থাকতেই হবে। ‘ভূতে ধরা’, ‘ঈশ্বরে ভয়’, ‘বিশ্বাসে রোগ আরোগ্য’, ‘সম্মোহন' ইত্যাদি কি ম্যাজিক? অলৌকিক সব কিছুর ব্যাখ্যা কি বাস্তবিকই শুধুমাত্র ম্যাজিকের সাহায্যেই