চ্যালেঞ্জ আমাদের সমিতির কর্মধারার বিভিন্ন পর্যায়ের একটি পর্যায় মাত্র। ‘চ্যালেঞ্জ’ অক্ষমদের কাছে ‘সস্তা চমক’ অবশ্যই, তবে আমাদের কাছে আন্দোলনের ‘হাতিয়ার’। ‘চ্যালেঞ্জ’কে যে সব ধান্দাবাজরা ‘নেশা’ বলে প্রচার করতে চান, তাঁদের উদ্দেশে জানাই—সাধারণ মানুষকে অবতার ও জ্যোতিষীদের ‘নেশা’ মুক্ত করতেই আমাদের চ্যালেঞ্জ। যতদিন সাধারণের মধ্যে ব্যাপকভাবে অবতার ও জ্যোতিষীদের ‘নেশা’ থাকবে, ততদিন ‘নেশা’ কাটাতে আমাদের চ্যালেঞ্জের নেশাও থাকবে।
তাঁদের উদ্দেশে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই, যাঁদের প্রতিটি চিঠি, প্রতিটি যোগাযোগ, প্রতিটি উষ্ণ অভিনন্দন, প্রতিটি গঠনমূলক সমালোচনা, প্রতিটি উপদেশ, প্রতিটি সহযোগিতা আমাকে এবং আমাদের সমিতিকে প্রেরণা দিয়েছে, সঠিকপথে এগোতে সহায়তা করেছে, সাহস জুগিয়েছে, গতিশীল রেখেছে। একই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা জানাই প্রতিবেশী বাংলাদেশের লড়াকু সাচ্চা যুক্তিবাদী মানুষদের উদ্দেশে যাঁদের লড়াইয়ের অদম্য শক্তি, যাঁদের অকুণ্ঠ সমর্থন আমাকে দিয়েছে, প্রেরণার চেয়েও বেশি কিছু। তবুও এর পরও অকৃতজ্ঞের মতো যাঁদের কাছ থেকে শুধু নিয়েইছি, দিতে পারিনি চিঠির উত্তরটুকুও, তাঁদের কাছে আন্তরিক ক্ষমাপ্রার্থী। পত্র লেখক-লেখিকাদের কাছে বিনীত অনুরোধ, চিঠির সঙ্গে অনুগ্রহ করে একটি জবাবি খামও পাঠাবেন। এমন কিছু চিঠির উত্তর দিতে পারিনি—যার উত্তরে বিস্তৃত আলোচনার প্রয়োজন ছিল, যা চিঠির স্বল্প পরিসরে সম্ভব ছিল না। বইটির প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ডে এবং পরবর্তী পশুগুলোতে তাঁদের সকলের জিজ্ঞাসা নিয়েই আলোচনা করেছি এবং করব।
আমার সংগ্রামের সাথী, প্রেরণার উৎস প্রত্যেককে জানাই সংগ্রামী অভিনন্দন।
প্রবীর ঘোষ
দেবী কমপ্লেক্স
ব্লক ‘সি’, ফ্ল্যাট-১০৪
কলকাতা ৭০০ ০৭৪