চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে ভূতে পাওয়া কী?
আপনারা যাঁদের দেখে মনে করেন, এঁদের বুঝি ভূতে
পেয়েছে, আসলে সেইসব তথাকথিত ভূতে পাওয়া
মানুষগুলো প্রত্যেকেই রোগী, মানসিক রোগী।
এইসব মানসিক রোগীরা এমন অনেক কিছু
অসম্ভব ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেন, যে সব
ঘটনা সাধারণভাবে স্বাভাবিক একজন
মানুষের পক্ষে ঘটানো অসম্ভব।
যে হেতু সাধারণভাবে আমরা বিভিন্ন মানসিক রোগ এবং মস্তিষ্ক স্নায়ু কোষের স্বভাব-চরিত্র সম্পর্কে তেমন কিছুই জানি না, তাই মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষের বিশৃঙ্খলার জন্য ঘটা অদ্ভুত সব ঘটনাগুলোর ব্যাখ্যা নিজেদের কাছে হাজির করতে পারি না। কিছু কিছু মানসিক রোগীদের ব্যাপার-স্যাপার তাই আমাদের চোখে যুক্তিহীন ঠেকে। আমরা ভেবে বসি—আমি যে হেতু এর ব্যাখ্যা পাচ্ছি না, তাই বুদ্ধি দিয়ে বুঝি এর ব্যাখ্যা পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু প্রতিটি ভূতে পাওয়া ঘটনারই ব্যাখ্যা আছে। বুদ্ধিতেই এর ব্যাখ্যা মেলে। বাস্তবিক পক্ষে ব্যাখ্যা পাওয়ার জন্য যা প্রয়োজন তা হল আগ্রহ, ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়ার আগ্রহ।
চিকিৎসা বিজ্ঞান
‘ভূতে পাওয়া’ বলে পরিচিত মনের
রোগকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছে।
এক : হিস্টিরিয়া (Hysteria),
দুই : স্কিটসোফ্রেনিয়া (Schizophrenia),
তিন : ম্যানিয়াক ডিপ্রেসিভ (Maniac depressive)।
হিস্টিরিয়া থেকে যখন ভূতে পায়
প্রাচীন কাল থেকেই হিস্টিরিয়া নামের মানসিক রোগটির অস্তিত্ব ছিল। কিন্তু তখনকার দিনের ওঝা, গুনিন বা জাদুচিকিৎসকরা সঠিক শারীর বিজ্ঞানের ধারণার অভাবে এই রোগকে কখনও ভূতে পাওয়া কখনও বা ঈশ্বরের ভর বলে মনে করেছে।