পাতা:অলৌকিক নয়, লৌকিক (দ্বিতীয় খণ্ড) - প্রবীর ঘোষ.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দুই


পত্র পত্রিকার খবরে ভূত

ট্যাক্সিতে ভূতের একটি সত্যি কাহিনি ও এক সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিক

বেশিদিনের কথা নয়। পঞ্চাশ বছর আগেও কলকাতা আর তার আশেপাশে সন্ধ্যার পর শ্যাওড়া কি তেঁতুল গাছের তলা দিয়ে যেতে গা ছমছম করত। মাঝেমধ্যে নাকি সে-সব জায়গায় অদ্ভুত সব ভূতদের দেখা পাওয়া যেত। এক সময় কলকাতায় ভূতুড়ে বাড়িও কম ছিল না। এককালে খাস কলকাতাতেই নাকি দেখা যেত সাহেব ভূত ভূতুড়ে ঘোড়ায় চেপে জ্যোৎস্নার ভেতর দিয়ে টগবগিয়ে চলে যাচ্ছে। কলকাতার বহু বনেদি বাড়ির জলসাঘরে বেলোয়ারি কাচের টুং-টাং আওয়াজের সঙ্গে ঘুঙুরের বোল তুলত কোন বিদেহী বাইজি। বহু পাষাণ-প্রাসাদেই ঘুরে বেড়াত ক্ষুধিত আত্মা।

 আজ সে রামও নেই, সে অযোধ্যাও নেই। আগের সেই রহস্যময় কলকাতা আজ বড় বেশি শুল্কং কাষ্ঠং হয়ে পড়েছে। কলকাতা আজ এত বেশি মুখর হয়ে উঠেছে যে আজকাল সেই সব ভূতদের আর দেখাই পাওয়া যায় না। জানি না কলকাতা থেকে উদ্বাস্তু হওয়া ভূতদের কোথায় পুনর্বাসন হয়েছে আজ? শহর কলকাতা যখন ভূতদের বিরহে নেহাতই কাঠ-কাঠ, এমনই সময়ে ১৯৮২-র ২১ এপ্রিল আনন্দবাজার দারুণ এক স্কুপ নিউজ ছাড়ল। সকালে আনন্দবাজার হাতে পেতেই বাড়িতে, চায়ের আড্ডায়, পাড়ার মোড়ে, স্কুল-কলেজে, অফিস-পাড়ায়, হইহই পড়ে গেল—আলিপুরে পুলিশ ভূত পাওয়া গেছে। প্রথম পাতায় চার কলম জুড়ে দারুণ গুরুত্বের সঙ্গে খবরটা প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার—

৯১