করা সম্ভব। নিয়ন্ত্রণ করবেন সম্মােহনকারী। নিয়ন্ত্রিত হবে সম্মােহিত মানুষটির ইন্দ্রিয়গুলাে। পাঁচটি কর্মইন্দ্রিয় হলাে: চোখ, কান, নাক, জিভ ও ত্বক।
কয়েকশাে অনুষ্ঠানে মঞ্চে দর্শকদের এনে সম্মােহিত অবস্থায় কাগজ ছুইয়ে বলছি—“ছুঁচ ফোটাচ্ছি।” তাঁরা প্রত্যেককেই ছুঁচ ফোটাবার যন্ত্রণা অনুভব করে চিৎকার করে উঠেছেন। আবার যখন সাজেশন’ দিয়েছি—হাত অসাড় হয়ে গেছে, তখন ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ হাতে পুরােটা ঢুকিয়ে দিয়েছি। যাদের হাতে ঢুকিয়েছি, তাঁরা কেউ-ই টেরই পাননি।
দর্শকদের মঞ্চে ডেকে সাজেশন দেওয়ার পর তারা সিগারেট পান করে বিভিন্ন রকমের স্বাদ পেয়েছেন। কেউ টক, কেউ ঝাল, তাে কেউ মিষ্টি। যাকে যেমন ‘সাজেশন’ দিয়েছি, তিনি তেমন স্বাদ পেয়েছেন।
এইসব অনুষ্ঠানের মধ্যে কয়েকটি হয়েছে কালটিভেশন অফ সায়েন্স, ‘এশিয়াটিক সােসাইটি’, ‘আই আই টি খগপুর, প্রেন্সিডেন্সি কলেজ-এর মতাে উচ্চমেধার মানুষদের সামনে।
বিজ্ঞানের কল্যাণে মানুষ আজ পৃথিবী থেকে মহাকাশ
পর্যন্ত বহু বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করলেও মানুষ
তার মন বা মস্তিষ্কের সম্বন্ধে
এখনও অনেক কিছুই
জানতে পারেনি।
(মনের নিয়ন্ত্রণ ও মেডিটেশান নিয়ে বিস্তৃত জানতে পারেন, ‘মনের নিয়ন্ত্রণ-যােগ-মেডিটেশান)