অতীন্দ্রিয় শক্তিতে বিশ্বাসী অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন—ইউরি গেলারকে কেউ একজন ভণ্ড বললেই তিনি ভণ্ড হয়ে যাবেন না। হয় শ্রীসরকার একটা চামচ বাঁকিয়ে দেখান, অথবা কৌশলটা জানান, যাতে যে কেউ পরীক্ষা করে তার সত্যতার প্রমাণ পেতে পারে।
আমি অবশ্য যে ভিডিও ক্যাসেট দেখেছি, তাতে কিন্তু এটা স্পষ্টতই বােঝা গিয়েছিল, ইউরির চামচ বাঁকানাের পিছনে Optical illusion-এর কোনও ব্যাপারই ছিল না। কারণ, দর্শকরা বাঁকানাে চামচটি হাতে ধরে পরীক্ষা করছিলেন। অর্থাৎ, চামচটি বাস্তবিকই বেঁকেছিল। দৃষ্টি বিভ্রম সৃষ্টি করে সােজা চামচকে বাঁকা দেখাবার চেষ্টা করেননি ইউরি।
ইউরির চামচ বাঁকানাের ক্যাসেট দেখার সঙ্গে সঙ্গে ওর মানসিক শক্তির গােপন রহস্য আমরা কাছে গােপন থাকেনি। তবে অবাক হয়েছি এই ভেবে—কত সাধারণ একটা বিজ্ঞানের সূত্রকে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞান পেশার মানুষদেরও ঠকিয়ে আসছিলেন।
আমি এখন যে নিয়মে চামচ বাঁকানাের কথা বলছি, তাতে দৃষ্টিবিভ্রমের ব্যাপার নেই। একটা টেবিলের একপ্রান্তে থাকব আমি, অন্যপ্রান্তে একটা বেদির মতাে
জেমস র্যাণ্ডি
স্ট্যাণ্ডের ওপরে দাঁড় করানাে থাকবে একটা ছুরি বা চামচ। টেবিল কোনওভাবে স্পর্শ না করেই আমি বসব। টেবিলে কোনও কৌশল নেই। সেটা থাকবে অতি সাদা-মাটা। ঠিক মতাে মনঃসংযােগের জনাে ছুরি বা চামচের ওপর তীব্র আলাে