পাতা:অশ্বঘোষের বুদ্ধচরিত (প্রথম খণ্ড) - রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯৪৫).pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বুদ্ধচরিত

 তিব্বতী ও চীনা অনুবাদের মধ্যে, তাঁহার নামে বহু দার্শনিক গ্রন্থও পাওয়া যায়। কিন্তু মূল সংস্কৃতে একমাত্র নৈরাত্ম্য-পরিপৃচ্ছা (বিশ্বভারতী হইতে প্রকাশিত) ও বজ্রসূচী[] ভিন্ন অন্য কোনো দার্শনিক গ্রন্থ তাঁহার নামে পাওয়া যায় নাই।

 অশ্বঘোষের কাব্যের সহিত কালিদাসের কাব্যের যথেষ্ট সাদৃশ্য দেখা যায়।

 বুদ্ধচরিতের তৃতীয় সর্গের ১৩-২৪ শ্লোকের দৃশ্যবর্ণনার সহিত কালিদাসের রঘুবংশের সপ্তম সর্গের ৫-১২ ও কুমারসম্ভবের সপ্তম সর্গের ৫৬-৬৫ শ্লোকের দৃশ্যবর্ণনায় বেশ মিল আছে।

 বুদ্ধচরিতের প্রথম সর্গের ২৭ ও ৩৫ শ্লোক, রঘুবংশের দশম সর্গের ৭৭ শ্লোকের সহিত এবং বুদ্ধচরিতের প্রথম সর্গের ৩২ ও ৪১ শ্লোক ও অষ্টম সর্গের ২৫ শ্লোক, রঘুবংশের তৃতীয় সর্গের ১৪।১৫ শ্লোকের সহিত তুলনা করা যাইতে পারে। এইসব স্থানে উভয়ের শব্দ প্রয়োগ ও প্রকাশভঙ্গির সাদৃশ্য পাওয়া যায়।

 কোথাও কোথাও বুদ্ধচরিতের সহিত রঘুবংশ বা কুমারসম্ভবের শব্দ প্রয়োগ হুবহু মিলিয়া যায়:—

নবং বয়ো দীপ্তমিদং বপুশ্চ—বুদ্ধ— ১০।২৩
নবং বয়ঃ কান্তমিদং বপুশ্চ—রঘু—২।৪৭
মহাত্মনি ত্বয়্যুপপন্নমেতৎ—বুদ্ধ—১।৬০
সর্বং সখে ত্বয়্যুপপন্নমেতৎ—কুমার—৩।১২

এইরূপ আরও বহুস্থানে উভয়ের কাব্যে নানা সাদৃশ্য আছে॥

  1. ইহা চীনা অনুবাদসহ বিশ্বভারতী হইতে প্রকাশিত হইতেছে