উগ্রতেজা ভানু যেমন প্রবল অন্ধকারকে পরাভূত করে, অতি প্রতাপবশত শত্রুগণকে সেইরূপ বিক্ষিপ্ত করিয়া, তিনি জনগণকে তাহাদের আশ্রয়ণীয় মার্গ প্রদর্শনপূর্বক চতুর্দিক উদ্ভাসিত করিয়াছিলেন॥১২॥
তাঁহার পরিচালনায় ধর্ম অর্থ ও কাম, পরস্পরের (বিস্তৃত) বিষয় আক্রমণ করিত না। তাহারা সত্বর সিদ্ধিলাভের জন্য, পরস্পরের প্রতি প্রতিদ্বন্দ্বিতাবশতই যেন নিজ নিজ অধিকারে উজ্জ্বলতর হইয়া উঠিয়াছিল॥১৩॥
অসংখ্য বিদ্বান সচিবসংঘের দ্বারা শ্রেষ্ঠতাপ্রাপ্ত, মহাপ্রভাবান্বিত সেই শাক্যেন্দ্ররাজ, সমান প্রভাবিশিষ্ট তারকার দ্বারা শশীর ন্যায়, অধিকতর শোভিত হইতেন॥১৪॥
পরমশোভা হইতে নির্গত পরমশোভার ন্যায়, তমঃপ্রভাব হইতে মুক্ত রবিপ্রভার ন্যায়, মহিষীগণের মধ্যে অগ্রমহিষী, মায়া হইতে বিমুক্তা, মায়া নাম্নী তাঁহার এক রাজ্ঞী ছিলেন॥১৫॥
যিনি মাতার ন্যায় প্রজাগণের মঙ্গলে প্রবৃত্তা, মূর্তিমতী ভক্তির ন্যায় গুরুজনের অনুগতা এবং রাজকুলে লক্ষ্মীর ন্যায় প্রভা বিস্তার করিয়া, জগতের দেবীগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হইয়াছিলেন ॥১৬॥
সত্যই স্ত্রীচরিত্র সর্বদা তমসাচ্ছন্ন। তথাপি তাঁহাকে প্রাপ্ত. হইয়া, তাহা (স্ত্রীচরিত্র) অতিশয় উজ্জ্বল হইয়া উঠিয়াছিল। শুভ্র ইন্দুলেখার সহিত যুক্ত হইলে, রাত্রির অন্ধকার কি আর তেমন থাকে॥১৭॥