পাতা:অশ্বঘোষের বুদ্ধচরিত (প্রথম খণ্ড) - রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯৪৫).pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অশ্বঘোষের বুদ্ধচরিত


দ্বারা চতুর্দিকের জনগণের দারিদ্র্যতাপ প্রশমিত করিয়াছিলেন॥২২॥

 একদা রাজার অনুমতিক্রমে অন্তঃপুরজনের সহিত সেই দেবী উত্তমদোহদা হইয়া লুম্বিনীনামক উপবনে গমন করিলেন॥২৩॥

 দেবী যখন এক পুষ্পভারাবনত শাখা অবলম্বন করিয়া দণ্ডায়মান ছিলেন, তখন বোধিসত্ত্ব তাঁহার কুক্ষিভেদ করিয়া অবিলম্বে বিনির্গত হইলেন॥২৪॥

 সেই সময় পুষ্য নক্ষত্র প্রসন্ন হইল। ব্রতসংস্কৃতা দেবীর পার্শ্বদেশ হইতে, বিনা বেদনায়, নিরাময়ে, এক পুত্র, লোকহিতের জন্য জন্মগ্রহণ করিলেন॥২৫॥

 প্রাতে, পয়োদ হইতে উজ্জ্বল সূর্যের ন্যায়, মাতৃকুক্ষি হইতে নিষ্ক্রমণপূর্বক, তেজের দ্বারা তম নিরসিত করিয়া, তিনি জগৎকে স্বর্ণের ন্যায় উজ্জ্বল করিলেন॥২৬॥

 তাঁহার জন্ম হইবামাত্র সহস্রলোচন ইন্দ্র প্রীত হইয়া, কাঞ্চন যুগের ন্যায় গৌরবর্ণ সেই বোধিসত্ত্বকে অতিযত্নে গ্রহণ করিলেন; আকাশ হইতে তাঁহার (বোধিসত্ত্বের) মস্তকোপরি মন্দারপুষ্পসহ দুইটি নির্মল বারিধারা নিপতিত হইতে লাগিল॥২৭॥

 চতুর্দিক হইতে শ্রেষ্ঠ সুরগণ কর্তৃক ধৃত হইয়া, সেই সুরগণকে নিজ দেহরশ্মির দ্বারা অনুরঞ্জিত করিয়া, সন্ধ্যাকালীন মেঘজালোপরি সন্নিবিষ্ট নবেন্দুকে তিনি সৌন্দর্যে পরাজিত করিলেন॥২৮॥