যেরূপ ঊরু হইতে ঔর্বের, হস্ত হইতে পৃথুর, মূর্ধা হইতে ইন্দ্রপ্রতিম মান্ধাতার এবং ভুজাংসদেশ হইতে কক্ষীবতের জন্ম হইয়াছিল, তাঁহার জন্মও সেইরূপ অলৌকিকভাবেই হইল॥২৯॥
ধীরে ধীরে গর্ভ হইতে অভিনিঃসৃত, অলৌকিকজন্মা সেই পুরুষ, যেন স্বর্গ হইতে আগমন করিলেন। যুগযুগান্তরের ধ্যানের দ্বারা পরিপুর্ণহৃদয় সেই বোধিসত্ত্ব, মুঢ়ভাবে নহে, সজ্ঞানে জন্মগ্রহণ করিলেন॥৩০॥
দীপ্তি ধৈর্য ও কান্তির দ্বারা, সেই বালক ভূমিতে অবতীর্ণ রবির ন্যায় বিরাজ করিতে লাগিলেন। তাদৃশ দিনমণি-সদৃশ অতিশয় উজ্জ্বল হইলেও (অক্লেশে) দর্শনীয় হইয়া, সকলের চক্ষুকে তিনি শশাঙ্কের ন্যায় হরণ করিলেন॥৩১॥
ভাস্করের ন্যায় নিজদেহের জ্বলন্ত প্রভার দ্বারা, তিনি দীপপ্রভাকে হরণ করিলেন। মহার্হ কাঞ্চনসম চারুবর্ণ সেই বোধিসত্ত্ব বালক, সর্বদিক আলোকিত করিয়া তুলিলেন॥৩২॥
অনাকুল, আয়ত, ধীর, গুরুগম্ভীর চরণবিক্ষেপের দ্বারা কমল প্রস্ফুটিত করিয়া, তিনি সপ্তর্ষি-নক্ষত্র-সদৃশ সপ্তপদ গমন করিলেন॥৩৩॥
সিংহগতি সেই বোধিসত্ত্ব, চতুর্দিক নিরীক্ষণপূর্বক “আমি বোধির জন্য ও জগতের হিতকামনায় জন্মগ্রহণ করিয়াছি, ইহাই আমার শেষ উৎপত্তি” এই ভবিষ্যদ্ বাণী উচ্চারণ করিলেন॥৩৪॥
চন্দ্রকিরণের ন্যায় শুভ্র শীতোষ্ণ গগনপ্রস্তুত দুইটি বারিধারা