অগ্নি অপরের চেষ্টা ব্যতিরেকে স্বতই মনোজ্ঞ সৌম্য শিখা ধারণ করিয়া জ্বলিয়া উঠিল॥৪১॥
তাঁহার নিবাসস্থলের পূর্বোত্তর প্রদেশে শুভ্রবারিবিশিষ্ট একটি কূপ স্বতই প্রাদুর্ভূত হইল। অন্তঃপুরিকাগণ বিস্ময়াবিষ্ট হইয়া, তীর্থের ন্যায় সেই স্থানে, মাঙ্গলিক ক্রিয়ার অনুষ্ঠান করিলেন॥৪২॥
তাঁহার দর্শন প্রত্যাশায় আগত, ধর্মার্থিজনে ও দিব্যসত্ত্বগণে সেই উপবন পূর্ণ হইল। পাদপগণ যেন কৌতূহলে পূর্ণ হইয়া সুগন্ধি পুষ্পের দ্বারা তাঁহার পূজা করিল॥৪৩॥
সমীরণবাহিত সুগন্ধে দিক পূর্ণ করিয়া, পুষ্পভ্রমসমূহ কুসুমে ফুল্লরিত হইয়া উঠিল। সেই পুষ্পরাজি উদ্ভান্ত ভূঙ্গবধূদের দ্বারা গুঞ্জরিত এবং ভুজঙ্গবৃন্দ কর্তৃক যেন ছত্রের দ্বারা আচ্ছাদিত হইল॥৪৪॥
কোনো কোনো স্থানে (পথের) উভয় পার্শ্বে, চঞ্চলকুণ্ডলভূষিতা নারীগণের শব্দায়মান তূর্য ও মৃদঙ্গানুগত সংগীতে, এবং বীণা মুকুন্দ ও মুরজাদি বাদ্যে, সেই নগর মনোরম হইয়া উঠিল॥৪৫॥
* রাজা শুদ্ধোদন পুত্রের এই অলৌকিক জন্ম দেখিয়া, স্বভাবত ধীরগম্ভীর প্রকৃতি হইলেও অতিশয় ব্যাকুল হইয়া
*••••••* এই অংশ সংস্কৃত পুঁথিতে পাওয়া যায় না। তিব্বতী অনুবাদের মধ্যে পাওয়া যায়।