উঠিলেন। তাঁহার স্নেহপ্রবণ হৃদয় দ্রবীভূত হইল। চক্ষু হইতে আনন্দে ও আশঙ্কায় অশ্রুধারা নিপতিত হইল।
প্রথিতযশা শুদ্ধচরিত বিদ্বান ব্রাহ্মণগণ, কুমারের এই অলৌকিক জন্ম ও অস্বাভাবিক ঘটনাবলীর বিষয় শ্রবণ করিয়া, হর্ষ-বিষাদাচ্ছন্ন রাজা শুদ্ধোদনের নিকট আগমন করিলেন। তাঁহারা আনন্দোৎফুল্ল বদনে রাজাকে উৎসাহিত করিয়া বলিতে লাগিলেন:
"মহারাজ! আনন্দিত হউন। আজ মহা উৎসবের দিন। হৃদয়ে কোনো উদ্বেগ, কোনো আশঙ্কা স্থান দিবেন না। আজ যিনি আপনার পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন, জগতের সমস্ত দুঃখ-সন্তপ্ত জনগণের তিনিই হইবেন উদ্ধারকর্তা, পথপ্রদর্শক, অধিনেতা।
“এই উজ্জ্বলকাঞ্চনবর্ণ অনুত্তর শিশুর যে লক্ষণসমূহ দর্শন করিতেছি— তাহাতে নিঃসন্দেহে বলা যায়, হয় ইনি মহামুনি হইয়া পরমসিদ্ধি লাভ করিবেন, নতুবা সমস্ত জগতের চক্রবর্তী সম্রাট হইবেন।
“যদি ইনি পার্থিব সম্পদ ইচ্ছা করেন, তাহা হইলে ইনি ইহার অলৌকিক শক্তির দ্বারা, সৌরজগতে সূর্যের ম্যায়, পৃথিবীর সমস্ত রাজগণের মুকুটমণি হইবেন।
“অথবা যদি ইনি নিঃশ্রেয়স পরমগতি আকাঙ্ক্ষা করিয়া, সংসার পরিত্যাগপূর্বক অরণ্যে গমন করেন, তাহা হইলে ইনি ইঁহার অলৌকিক তপস্যালব্ধ তত্ত্বের দ্বারা জগতের সমস্ত