মতবাদ নিরস্ত করিয়া, গিরিগণ মধ্যে মেরুর ন্যায়, সর্বোপরি বিরাজ করিবেন।
“ধাতুগণের মধ্যে যেমন স্বর্ণ, গিরিগণের মধ্যে যেমন মেরু, জলরাশির মধ্যে যেমন সাগর, গ্রহগণের মধ্যে যেমন চন্দ্র, তেজোরাশির মধ্যে যেমন সূর্য, জগতের সমস্ত জনগণের মধ্যে আপনার পুত্র হইবেন সেইরূপ সর্বোত্তম।”
রাজা সমস্ত শ্রবণ করিয়া সেই দ্বিজগণকে প্রশ্ন করিলেন: “পূর্বে মহাশক্তিমান্ রাজর্ষিগণের মধ্যেও যে লক্ষণসমূহ দৃষ্ট হয় নাই, তাঁহারাও যাহা করিতে সমর্থ হন নাই, ইনি তাহা সম্পন্ন করিতে সমর্থ হইবেন, ইহা কিরূপে সম্ভব।”
রাজার এই প্রশ্ন শুনিয়া ব্রাহ্মণগণ উত্তর করিলেন: “পূর্বে কাহারও দ্বারা যে-যশ অর্জিত হয় নাই, যে-কর্ম অনুষ্ঠিত হয় নাই, যে-জ্ঞান উপলব্ধ হয় নাই, তাহা পরে অন্য কাহারও দ্বারা হইবে না, এমন কথা বলা যায় না। এ বিষয়ে পূর্বপর বলিয়া কোনো নিয়ম নাই।*[১]
“গোত্রপ্রতিষ্ঠাতা ঋষি ভৃগু ও অঙ্গিরা যে-রাজশাস্ত্র রচনা করিতে পারেন নাই, হে সৌম্য! কালে তাঁহাদের পুত্রদ্বয় শুক্র ও বৃহস্পতি তাহা করিয়াছিলেন॥৪৬॥
“যে-বেদ পূর্ব আচার্যগণ দর্শন করেন নাই, সেই নষ্ট বেদ সারস্বতের দ্বারা পুনরায় উক্ত হইয়াছিল। স্বশিষ্ট, যে-বেদকে বিভক্ত করিতে অসমর্থ হইয়াছিলেন, ব্যাস সেই বেদকে বহু ভাগে বিভক্ত করিয়াছিলেন॥৪৭॥
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;তিব্বতী
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি