পাতা:অশ্বঘোষের বুদ্ধচরিত (প্রথম খণ্ড) - রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯৪৫).pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
অশ্বঘোষের বুদ্ধচরিত

 “মহর্ষি চ্যবন যাহা রচনা করিতে পারেন নাই, বাল্মীকি সেই পদ্য রচনা করিয়াছিলেন। পূর্বে অত্রি যে-চিকিৎসাশাস্ত্র প্রণয়ন করিতে পারেন নাই, আত্রেয় ঋষি পরে তাহা করিয়াছিলেন ॥৪৮৷৷

 “কুশিকের দ্বারা যে-দ্বিজত্ব লব্ধ হয় নাই, হে রাজন ! গাধির পুত্রের দ্বারা তাহা সাধিত হইয়াছিল। পূর্বে ইক্ষ্বাকু পুত্রগণ যে-সমুদ্রের বেলা বন্ধনে অসমর্থ হইয়াছিলেন, পরে সগর সেই সমুদ্রের বেলা ধারণ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন ॥৪৯॥

 “যোগক্রিয়ায় ব্রাহ্মণগণের যে-আচার্যত্ব অন্য কোনো ক্ষত্রিয় পান নাই, জনক তাহা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । শৌরির দ্বারা যে-কর্ম সমূহ বিখ্যাত হইয়াছে, শূরগণ তাহা সাধন করিতে অসমর্থ ছিলেন ॥৫০॥

 “নৃপতি ও ঋষিগণের পূর্বপুরুষগণ যে-হিতকার্যসমূহ সম্পন্ন করেন নাই—তাঁহাদের পুত্র (পৌত্রগণের) দ্বারা তাহা অনুষ্ঠিত হইয়াছে । সুতরাং বয়স ও বংশ এ বিষয়ে প্রামাণ্য নহে ; জগতে, যে-কোনো স্থান হইতে যে-কোনো ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ হইতে পারে” ॥৫১ ৷৷

 বিশ্বাসভাজন সেই দ্বিজগণের দ্বারা এইরূপে আশ্বাসিত ও অভিনন্দিত হইয়া, নরপতি শুদ্ধোদন, চিত্ত হইতে সমস্ত অনিষ্টাশঙ্কা দূর করিয়া, অধিকতর হর্ষলাভ করিলেন ॥৫২॥

 “আপনারা যেরূপ বলিলেন এ সেইরূপ সম্রাট হউক ও জরাগ্রস্ত হইলে বানপ্রস্থ অবলম্বন করুক” – এই কথা বলিয়া