প্রীত হইয়া, তিনি সেই দ্বিজোত্তমদিগকে সৎকারপূর্বক বহু ধন প্রদান করিলেন॥৫৩॥
অনন্তর, সেই (অলৌকিক) লক্ষণসমূহের দ্বারা, এবং নিজ তপস্যাবলে, জন্মান্তকরের (বোধিসত্ত্বের) সেই জন্ম বিষয় অবগত হইয়া, সদ্ধর্ম পিপাসায় মহর্ষি অসিত শাক্যেশ্বরের আলয়ে আগমন করিলেন॥৫৪॥
ব্রাহ্মীশ্রী ও তপঃশ্রীর দ্বারা উজ্জ্বল, ব্রহ্মবিদগণের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ঋষিকে সগৌরবে, সৎকারপুর্বক রাজগুরু রাজসদনে প্রবেশ করাইলেন॥৫৫॥
কুমারের জন্মহেতু হর্ষবেগপূর্ণ, জরা ও তপঃপ্রকর্ষহেতু ধীর, সেই ঋষি রাজান্তঃপুর-সমীপে প্রবেশ করিলেন। সেই নির্বিকার পুরুষের চিত্তে, রাজান্তঃপুরও অরণ্যের ন্যায় প্রতিভাত হইল॥৫৬॥
অনন্তর নৃপতি, আসনস্থ মুনিকে পাদ্যার্ঘ্য প্রদানপূর্বক সম্যক পূজা করিয়া, পুরাকালে বশিষ্ঠকে অন্তিদেব যেরূপ নিমন্ত্রণ করিয়াছিলেন, তাঁহাকে সেইরূপ যথোপচারে নিমন্ত্রণ করিলেন॥৫৭॥
“ভগবান আমাকে দেখিতে আসিয়াছেন— আমি ধন্য হইয়াছি, আমার বংশ আপনার অনুগ্রহভাজন হইয়াছে। হে সৌম্য! কি করিব আজ্ঞা করুন। আমি আপনার শিষ্য, আপনার নির্ভরযোগ্য”॥৫৮॥
নরপতি কর্তৃক এইরূপে সর্বতোভাবে যথোচিত নিমন্ত্রিত