পাতা:অশ্বঘোষের বুদ্ধচরিত (প্রথম খণ্ড) - রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯৪৫).pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
অশ্বঘোষের বুদ্ধচরিত

হইয়া, বিস্ময়োৎফুল্ল বিশালনয়ন সেই মুনি, এই ধীর গম্ভীর বাণী উচ্চারণ করিলেন॥৫৯॥

 “তুমি অতিথিপ্রিয়, ত্যাগী, ধর্মাকাঙ্ক্ষী, মহাত্মা। প্রকৃতি, বংশ, জ্ঞান ও বয়সানুরূপ আমার প্রতি তোমার এইরূপ স্নেহাভিষিক্তা মতি, তোমার যোগ্যই হইয়াছে॥৬০॥

 “এইভাবে পূর্বরাজর্ষিগণ পূর্ব জন্মার্জিত পুণ্যের দ্বারা ধনলাভ করিয়া, নিত্য যথাবিধি অধিগণকে বিতরণ করিয়া, বিভবে দরিদ্র হইলেও তপস্যায় ঐশ্বর্যশালী হইয়াছিলেন॥৬১॥

 “এখন আমার আগমনের কথা শ্রবণ করিয়া তুমি প্রীতিলাভ করো। বোধিলাভের জন্য তোমার এক পুত্র জন্মগ্রহণ করিয়াছে, আমি আকাশমার্গে এই দিব্যবাণী শ্রবণ করিলাম॥৬২॥

 “সেই বাণী শ্রবণ করিয়া, ধ্যানযোগে এবং (অলৌকিক) লক্ষণসমূহের দ্বারাও অবগত হইয়া, শত্রুধ্বজের ন্যায় সমুন্নত শাক্যকুলধ্বজের দর্শনাভিলাষে এখানে উপস্থিত হইয়াছি”॥৬৩॥

 ইহা শুনিয়া আনন্দে ত্বরিতগতি নরপতি, ধাত্রীক্রোড়স্থিত কুমারকে আনয়ন করিয়া, তপোধনকে দর্শন করাইলেন॥৬৪॥

 মহর্ষি সবিস্ময়ে সেই রাজপুত্রকে দর্শন করিলেন। চরণ তাঁহার চক্রাঙ্কিত, হস্ত ও চরণের অঙ্গুলিসমূহ জালযুক্ত, ভ্রূদ্বয় ঊর্ণাযুক্ত এবং বস্তিকোশ হস্তীর ন্যায়॥৬৫॥

 পার্বতীর ক্রোড়স্থিত কুমারের (কার্তিকের)ন্যায়, ধাত্রীক্রোড়গত কুমারকে দর্শন করিয়া, তাঁহার অক্ষিপল্লবে