পাতা:অশ্বঘোষের বুদ্ধচরিত (প্রথম খণ্ড) - রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯৪৫).pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম সর্গ
১৭

পথহারা পথিকের ন্যায় জনগণকে, মোক্ষমার্গ প্রদর্শন করিবেন॥৭৭॥

 “আতপান্তে, বৃষ্টির দ্বারা মহামেঘ যেরূপ জগতের তাপ দূর করে, সেইরূপ ইনিও বিষয়-ইন্ধনান্বিত রাগাগ্নির দ্বারা দহ্যমান জনসমূহকে ধর্ম-বৃষ্টির দ্বারা আনন্দ বিতরণ করিবেন॥৭৮॥

 “ইনি জীবগণের মুক্তির জন্য, তৃষ্ণার্গলসমন্বিত মোহান্ধকারকপাটবিশিষ্ট দ্বার, দুর্লভ ও উৎকৃষ্ট সদ্ধর্মতাড়নের (চাবির) দ্বারা উদ্ঘাটিত করিবেন॥৭৯॥

 “এই ধর্মরাজ বোধিলাভ করিয়া, স্বরচিত মোহপাশে পরিবেষ্টিত, দুঃখাভিভূত, নিরাশ্রয় জনসমূহের বন্ধন মোচন করিবেন॥৮০॥

 “হে সৌম্য, তুমি ইহার জন্য শোক করিয়ো না। মোহে, বিষয়সুখহেতু, বা গর্ববশত, মনুষ্যলোকে যে-ব্যক্তি ইহার পরমধর্ম শ্রবণ করিবে না, সেই ব্যক্তির জন্যই শোক করা উচিত॥৮১॥

 “এই পুণ্য হইতে ভ্রষ্ট হওয়ায়, সমস্ত ধ্যান-সমাধি লাভ করিয়াও আমি অকৃতার্থ রহিলাম। ইহার ধর্ম শ্রবণে বঞ্চিত হওয়ায়, আমি ত্রিদিববাসকেও বিপত্তি বলিয়া মনে করিতেছি”॥৮২॥

 ইহা শুনিয়া নরপতি বিষাদ পরিত্যাগ করিয়া ভার্যা ও সুহৃদগণসহ আনন্দে মগ্ন হইলেন। “পুত্র আমার এইরূপ"