পাতা:অশ্বঘোষের বুদ্ধচরিত (প্রথম খণ্ড) - রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯৪৫).pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
অশ্বঘোষের বুদ্ধচরিত

এই কথা ভাবিয়া তিনি নিজেকেও সারবান পুরুষ বলিয়া মনে করিলেন॥৮৩॥

 “পুত্র আমার ঋষিমার্গে গমন করিবে” — তিনি এই চিন্তায় নিমগ্ন হইলেন। যদিও তিনি ধর্মের বিপক্ষে ছিলেন না, তথাপি সস্তানের বিচ্ছেদ ভয়ে উদ্‌বিগ্ন হইলেন ॥৮৪॥

 অনন্তর, পুত্রের জন্য উদ্‌বিগ্ন সেই রাজাকে তাঁহার পুত্রসংক্রান্ত তত্ত্ব নিবেদন করিয়া, অসিতমুনি যে-ভাবে আসিয়া ছিলেন, সকলের দ্বারা সসম্মানে নিরীক্ষ্যমাণ হইয়া, সেইভাবেই পবনপথ দিয়া গমন করিলেন॥৮৫॥[]

 পুত্রের জন্মে আনন্দিত, পুত্রপ্রিয় নরপতি তাঁহার রাজ্যের সমস্ত বন্দীদের বন্ধন মোচন করিয়া, সন্তানের জাতকর্মাদি, নিজবংশানুরূপ যথাবিধি সম্পন্ন করাইলেন ॥৮৬॥

 দশ দিবস অতীত হইলে, সংযতচিত্ত ও পরম আনন্দিত সেই রাজা পুত্রের কল্যাণের জন্য জপ-হোমাদি এবং দেবোদ্দেশে যজ্ঞ করিলেন॥৮৭॥

 পুত্রের কল্যাণের জন্য, তিনি স্বয়ং দ্বিজসমূহকে পূর্ণসংখ্যায় শতসহস্র, বলিষ্ঠ বৎসযুক্ত, শৃঙ্গে স্বর্ণসমন্বিত, জরাবিরহিত, পয়স্বিনী গাভী দান করিলেন॥৮৮॥

  1. ৮৫ ও ৮৬ সংখ্যার মধ্যে— একটি শ্লোকের অনুবাদ বাদ দেওয়া হইয়াছে। ওই শ্লোকটি এখানে ঠিক খাপ খায় না। চীনা অনুবাদে (৫ম থ্রী কৃত } এই শ্লোক নাই।