পাতা:অষ্টাঙ্গ হৃদয় - বাগ্‌ভট.pdf/২১২

ა\ად . अनेत्र श् । [ ৩য় অঃ স্রোতোলৈ গুণাবশতঃ সেই রস শরীরের ষে স্থানে সংসভক্ত হয়। সেই স্থানে রোগ উৎপাদন করে। যেমন বায়ুবশে চালিত মেঘ আকাশের যে স্থানে সঞ্চিত হয়, সেই স্থানেই বর্ষণ করে, সর্বত্র নহে। রসধাতুও তদ্রুপ আবদ্ধ স্থানে রোগ উৎপাদন করে, সর্বত্র নহে। রসাদি ধাতুর ন্যায় বাতাদি দোষ সমূহও ব্যানবায়ুবিক্ষিপ্ত হইয়া স্রোতোদুষ্টিবশতঃ রুদ্ধস্থানে রোগ জন্মাইয়া থাকে। এই জন্য সিন্ধু দক্র প্রভৃতি রোগ শরীরের একদেশে জন্মে ॥ ৭১-৭৩ * অন্নাগ্নি ( জািঠর অগ্নি) ভৌতিকাগ্নি ও ধাত্বগ্নির কর্ম্ম পুর্ব্বে কথিত হইয়াছে। (এক্ষণে জাঠির অগ্নির শ্রেষ্ঠত্ব প্রদৰ্শিত হইতেছে। ) ৷ ৭৪ ৷৷ সর্ব্বপ্রকার অগ্নির মধ্যে অন্নের পূক্ত। পাচক অগ্নিই শ্রেষ্ঠ ; কারণ, পাচক অগ্নিই ভৌমাগ্নি ও ধাত্বগ্নির মূল। পাচক অগ্নির বৃদ্ধি ও ক্ষয় দ্বারা অন্য অগ্নিরও বৃদ্ধিক্ষয় হইয়া থাকে। অতএব যথাবিধিপযুক্ত হিঁতকর অন্নপানীদিরূপ ইন্ধন প্রয়োগ দ্বারা পাচকাগ্নিকে অতিযত্বপূর্বক রক্ষা করিবে। যেহেতু পাচকাগ্নি রক্ষিত হইলে আয়ু ও বল রক্ষিত হইবে ॥ ৭৫।৭৬ চতুর্ব্বিধ জাঠিরাগ্নির বিষয় কথিতংহইতেছে-সমান বায়ু স্বকীয় আশয়ে অবস্থিত হইলে জাঠির অগ্নি সম, বিমাৰ্গগত হইলে বিষম, পিণ্ডাভিমূচ্ছিত হইলে তীক্ষ এবং কফপীড়িত হইলে মন্দ হয়। এই প্রকারে সমাগ্নি, বিষম্যাগ্নি, তীক্ষাংগ্নি ও সমাগ্নি এই চতুৰ্বিদ অগ্নি। যে অগ্নি, যাৰ্পবিধি ভূক্ত অন্নকে সম্যক পরিপাক করে তাহাকে সমাগ্নি ; যে অগ্নি কোন সময়ে আঁবিধি” ( দেশকাল, মাত্রাবিধিস্ৰষ্ট ) ভুক্ত অন্নকে শীঘ্র পরিপাক করে, বা কখন যথাবিধি ভুক্ত অন্নকে বিলম্বে পরিপাক করে, তাহাকে বিষম্যাগ্নি ; যে অগ্নি অদিধিভুক্ত অন্নকে শীঘ্র পরিপাক করে তাহাকে তীক্লাগ্নি এবং যে অগ্নি যথাবিধিভুক্ত অগ্নকেও বিলম্বে পরিপাক করে এবং মুখশোষ, আটােপ (উদূরে সবেদন গুড়গুড় ধ্বনি), অস্ত্রকুজন (পেট্ৰডাক ), আত্মান ও উদরের গুরুতা প্রভৃতি লক্ষণঃ উৎপাদন করে, তাহাকে মন্দগ্নি কহোঁ ॥ ৭৭-৮০' a c অগ্নির আয়ত্ত বল, সেই জন্য এখানে বলের ত্রৈবিধ প্রদৰ্শিত হইতেছে। দেহবল ত্রিবিধ, যথাসহজ কালজ ও যুক্তিকৃত। তন্মধ্যে যাহা সত্ত্বরাজ ও তমোগুণসমুখিত এবং শরীরোদ্ভূক্ত তাহ। সহজ অর্থাৎ স্বাভাবিক বল ; বাল্য যৌবনাদি বয়স অনুসারে জাত এবং হেমন্তাদি ঋতু সমুদ্ভুত যে বল তাহা কালজ এবং যাহা আহারবিহারাদি ও তেজস্কর (রাসায়নাদি ) ভেষজ প্রয়োগ জনিত তাহা যুক্তিজ ॥৮১-৮৩ - , জঙ্গল আনুপ ও সাধারণ ভেদে দেশ ত্রিবিধ। অল্পজল বৃক্ষ ও পর্বতবিশিষ্ট দেশকে জাঙ্গল - দেশ কহে। জাঙ্গল দেশ অল্পরোেগজনক, আনুপদেশ ইহার বিপরীত, অর্থাৎ বহু জল বৃক্ষ ও পর্ব্বতযুক্ত এবং বহুরোেগজনক। সাধারণ দেশ সমভাবাপন্ন, ইহাতে জঙ্গল ও আধুপি উভয় দেশের লক্ষণ বর্ত্তমান থাকে। সাধারণ দেশে জল বৃক্ষ পর্ব্বত ও রোগের আধিক্য বা অল্পতা নাই ॥৮৪ মজ্জাদির পরিমাণ। দেহে মজ্জা মেদ বসা মুত্র পিত্ত শ্লেষ্মা মল রক্ত রস ও জল এই সকল দ্রব্য যথাক্রমে স্বকীয় হস্তের এক এক অঞ্জলি অধিক। অর্থাৎ মজ্জা এক অঞ্জলি, মেদ দুই অঞ্জলি, বসা তিন অঞ্জলি ইত্যাদি। ওজোধাতু মস্তিষ্ক ও শুক্রের পরিমাণ এক প্রস্থত অর্থাৎ অৰ্দ্ধাঞ্জলি ; স্তন্যদুগ্ধ দুই অঞ্জলি, রজঃ চারি অজলি। সমধাতুবিশিষ্ট ব্যক্তির মজ্জাদির এইরূপ পরিমাণ"; ইহার অধিক হইলে বৃদ্ধি এবং অল্প হইলে ক্ষয় বলিয়া জানিবে ॥ ৮৫-৮৭, ১